কুমিল্লায় আদালতে বিচারকের খাস কামরায় কুপিয়ে এক আসামিকে হত্যাকারী হাসান : নয়া দিগন্ত
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৫৩

বিচারকের খাস কামরায় আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

কুমিল্লার আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে ফারুক নামের এক আসামিকে টেবিলের ওপর শুইয়ে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদ উল্লাহর ছেলে। ঘাতক হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।

মামলার আইনজীবী এপিপি নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিম নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। গতকাল ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪ নম্বর আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮ নম্বর আসামি হাসান। এ সময় জীবন বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় প্রবেশ করেন। সেখানে হাসান প্রবেশ করে টেবিলের ওপর ফেলে ফারুককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাকে ওই কক্ষের ফ্লোরে ফেলেও আঘাত করা হয়। এ সময় আদালতে অন্য একটি মামলার হাজিরা দিতে আসা কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ এগিয়ে গিয়ে হাসানকে আটক করে। তখন আদালত কক্ষে বিচারক, আইনজীবী ও অন্য আসামিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘাতক হাসান পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ফারুক তাকে মামলায় জড়িয়েছে। সেই ক্ষোভে হাসান তাকে হত্যা করে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, কুমিল্লার আদালতের বিচারকের খাস কামরায় একই মামলার এক আসামি অন্য আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আসামিকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি : এ ঘটনায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো: সাখায়াৎ হোসেনকে প্রধান করে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন ও ডিআইওয়ান মো: মাহবুব মোর্শেদকে সদস্য করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর কারো গাফিলতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/425667