১ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ১২:২৭

দেখা অদেখা

সময় ফুরিয়ে যাওয়ার পূর্বে কোনো বিষয়ে যদি কারো বোধোদয় না ঘটে, তবে তা নিয়ে পস্তাতে হয়। তবে জেনে শুনে ভুল করে তা নিয়ে আপেক্ষ অনুপাত করাকে জ্ঞানপাপির কর্ম ছাড়া অন্য কিছু বলা যাবে না। সম্প্রতি এমন কাণ্ড ঘটেছে। গত সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের টিকিটে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের সবাই বিজয়ী হওয়ার জন্য এমন কৌশল অবলম্বন করেছিলেন যে, কোথায়ও আর ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দিতে হয়নি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট দেয়া হয়ে গেছে এবং ক্ষমতাসীন দলেন সদস্যদের কোনো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ী হতে হয়নি। অথচ অতীতে বাংলাদেশের মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পরমানন্দে নিজেদের ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। কিন্তু এখন আর ভোটারেরা ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে উৎসাহ বোধ করেন না। বিজ্ঞ মহল বারবার ভোট প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টদের এই মর্মে সতর্ক করেছে যে, গণতন্ত্রের জন্য এর পরিণতি ভালো হবে না। এমন বাক্য শুনে কারোই তখন বোধোদয় হয়নি। বরং তখন এমন প্রশ্নবোধক বিজয় নিয়ে উল্লাসের কোনো কমতি ছিল না। তাদের স্ফূর্তি দেখে জনগণ হতভম্ভ হয়ে পড়েছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। জনগণের সমর্থন আস্থা নিয়ে কারোই কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। অথচ ক্ষমতাসীনদের বক্তব্য বিবৃতি থেকে এটা মনে করা গিয়েছিল যে, তারা ভালো নির্বাচন চান। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ক্ষমতার জোরে প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিজয়ের কৌশল বাস্তবায়ন করা হয়। যে দেশের মানুষের প্রতি অনাস্থা ও অবহেলা প্রদর্শন করা হচ্ছে তা অনুধাবন করা হয়নি। মানুষের মৌলিক অধিকারকে যে এতে খর্ব করা হচ্ছে, তাও বিবেচনায় নেয়া হয়নি।

অতি সম্প্রতি একাদশ সংসদের প্রশ্নবোধক নির্বাচনে ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে বিজয়ী ওয়র্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নির্বাচন ও সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেছে, নির্বাচন নিয়ে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে ভোট দেয়ার ব্যাপারে জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। মসজিদে মসজিদে ঘোষণা দিয়েও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা যায়নি। এটা নির্বাচনের জন্য কেবল নয়, গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ যদি দেশের নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তাহলে রাজনৈতিক দল নির্বাচন কেবল নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলবে। এটা সবার জন্য যেমন, আওয়ামী লীগের জন্য তেমন প্রযোজ্য। তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাচন পর্যন্ত এ রোগ বিস্তৃত হয়েছে। নির্বাচনের ব্যাপারে জনগণ এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এই পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসার কথা তিনি বলেছেন। সম্প্রতি তার এই হিতোপদেশ ও বোধোদয় অনেক বিলম্বে ঘটেছে। তিনি মানুষের আস্থা হারানোর কথা বলেছেন কিন্তু এ কথা উচ্চারণ করেনিÑ এ আস্থা হারানোর ঘটনা কেন ঘটেছে। তিনি স্বয়ং কেমন নির্বাচনে ‘বিজয়ী’ হয়েছেন। সেই সংসদ নির্বাচনেই ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। রাতের আঁধারে কৌশল এঁটে ভোট ছিনতাই করা হয়েছে। তাই এমন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এ ধরনের হিতোপদেশ দেয়ার আগে এটা স্মরণ করা উচিত আপনি আচরি ধর্ম পরের শিখাও। সংসদের এই বক্তৃতায় তিনি তার অতীত আন্দোলনে ভোটের জন্য সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেছেন। তার সেই অতীত সংগ্রামের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে আরজ করব, এখন যে মানুষ ভোট দিতে পারছে না, তার প্রতিকারের জন্য তার কিছু করা উচিত। তিনি যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন, তখন দেশের জনগণ স্বাধীন ছিল না। এখন দেশ স্বাধীন এবং তিনি ক্ষমতার চর্চা করেছেন। তাই এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, তাহলে এখন কেন দেশে মানুষ ভোটাধিকার হারিয়েছে। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় ছিলেন তখন তো আর গণতন্ত্রের জন্য আক্ষেপ করেননি। আজকে তার এই বোধোদয় কতটা লোক দেখানো তাইবা বলবে কে। আর না কোন বেদনাবোধে তিনি এখন কাতর হয় আছেন, তাও তো হতে পারে। যে যাই হোক, তার এই সাম্প্রতিক উপলব্ধির পর তিনি ভবিষ্যতে নিজেকে শুধরে নিতে পারেন এবং এখন গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধারের জন্য যারা নয়া নির্বাচনের দাবি তুলেছে তাদের সাথে তিনি সংহতি প্রকাশ করতে পারেন। তাহলে তার প্রকৃত বোদোধয় প্রমাণ হবে এবং অতীতে তার কথা অনুসারে গণতন্ত্রের জন্য তিনি যে সংগ্রাম আন্দোলন করেছেন, তারও স্বীকৃতি মিলবে। তা না হলে সমালোচকেরা বলবে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে এখন তিনি ক্ষোভ উষ্মা প্রকাশ করছেন এবং সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হবেন।

তার মতো আরো অনেক বাম ঘরানার নেতা একসময় তো ভোটব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন না। তাদের ধারণায় পরিবর্তন ঘটেছে বলে সাধুবাদ জানানো উচিত। আর প্রসঙ্গক্রমে এটা বলাও সঙ্গত হবে যে, ভেজাল নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মধ্যে কোনো তৃপ্তিবোধ নেই। রাজনীতি যদি জনকল্যাণে নিবেদিত হয়, তাদের নীতি ও কর্মসূচি জনকল্যাণমুখী হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে তারা মানুষের মন জয় করতে সমর্থ হবেন।

বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা যাতে গণতান্ত্রিক হয় তার বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় নীতি ও আদর্শে। এই নীতি আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা সবারই কর্তব্য। শুধু কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে গণতন্ত্রের অনুশীলন ঘটে তারও তাগিদ রয়েছে। দেশের আইনকানুনে নির্দেশ রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর শাসনভার থাকবে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে। বাংলাদেশের স্থানীয় পদ্ধতি দীর্ঘকালের পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী। তার অন্যতম স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হলো উপজেলা পরিষদ। এর রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক গুরুত্ব অনেক। বিশেষ করে গ্রামীণ জীবনের সাথে শহরাঞ্চলের মধ্যে যে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে তা দূর করার যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা এই উপজেলা ব্যবস্থার মাধ্যমে করাই হচ্ছে প্রশাসনিক নীতি। সেই উপজেলার নির্বাচন সম্প্রতি কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। অতি সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের শেষ দিকের এক ধাপের ভোটগ্রহণ হয়েছে। কিন্তু সেই নির্বাচনে ভোটারদের অনুপস্থিতির কারণে গোটা দেশে বিশেষ করে সচেতন মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গণতন্ত্রের প্রধান অনুশীলন ভোটের ব্যাপারে ভোটারদের এমন অনীহা খোদ গণতন্ত্রের জন্য অশনিসঙ্কেত। যারা দেশে গণতন্ত্রকে অকার্যকর করার ক্ষেত্রে আংশিক দায়ী, সেই নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ কমিশনার যিনি বরাবর ভিন্ন মত পোষণ করে আসছেন কমিশনের অন্যসব কর্ণধারদের থেকে সেই মাহবুব তালুকদার সম্প্রতি নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে আশঙ্কার দিক হচ্ছে ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা, যা জাতিকে গভীর খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদী শাসনের অনিশ্চিত গন্তব্যে চলেছে।
গণতন্ত্রের ব্যাপারে চার দিক থেকে আসা মন্তব্যগুলো নিয়ে ক্ষমতাসীনেরা অবশ্যই অবহিত। এ নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বটে। কিন্তু এসব বিষয়ে তাদের উদাসীন থাকা বা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। যে গুরুতর সমস্যা নিয়ে এখন কথা উঠেছে সে সম্পর্কে করণীয় তাদের অন্যদের অনেক বেশি। যারা নিজেদের গণতন্ত্রের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে অঙ্গীকার করে। এ নিয়ে তাদের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে। কেননা আজকের এই পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করলে দেশ যে গন্তব্যে যাবে, সে পরিণতির জন্য কারো দায় কম নয়। সময়ের সে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কারো পিছিয়ে থাকাকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। অতীতে দেশে গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কার কী ভূমিকা তা অবশ্যই কেউ ভুলে যায়নি। তাছাড়া এটা কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়, এ দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য অপরিসীম আত্মত্যাগ করেছে। তাই এ ক্ষেত্রে কারো অবহেলা তারা সহ্য করবে না।

আগেই বলা হয়েছে, এখন গণতন্ত্র নিয়ে হেলাখেলা চলছে এবং জনগণের ভোটাধিকার উপেক্ষিত হচ্ছে। যদি জনগণ পাল্টা শাসকদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করতে থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রশাসন শেকড় ছিন্ন হয়ে পড়বে আর জন ভিত্তি হারালে ছিন্ন শ্যাওলার মতো ভেসে বেড়াবে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সরকারের শুধু অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেই নয় বহির্বিশ্বে তার অবস্থানের অবনতি ঘটবে। এমন দুর্বল প্রশাসনের পক্ষে তখন শাসন পরিচালনা কষ্টকর হয়ে পড়বে। তেমন অবস্থার কারণ ঘটলে সমাজে অপশক্তির উত্থান ঘটবে। এরা তৎপর হলে জনজীবনে শান্তি নিরাপত্তা বিঘিœত হবে। অরাজকতা বিশৃঙ্খলায় সব ভরে যাবে। সে সম্ভাবনার নিরিখে প্রশাসনকে ভাবতে হবে আসলে তারা কী চান? শৃঙ্খলা না নৈরাজ্য। শৃঙ্খলা চাইলে তাদের নীতি কর্মপন্থাকে বিন্যাস করতে হবে। শুধু নিজেদের স্বার্থ রক্ষার ভাবনা থেকে সরে আসতে হবে, জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে যদি সময় থাকতে বোধোদয় না ঘটে, তবে সময় ফুরিয়ে গেলে কিছু করার থাকবে না।

ক্ষমতাসীনেরা দেশ নিয়ে তাদের স্বপ্নের কথা বলেন। শুধু এখন নয়, তারা স্বাধীনতার পর থেকেই এমন কথা বলে আসছেন। কিন্তু তারা তাদের এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি। কেননা স্বপ্ন পূরণের জন্য বাস্তবতার যে স্পর্শ থাকা দরকার, সেটা বিবেচনায় নিয়ে হবে। আর যে বিবেচনা হচ্ছে স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজন তার ভুল ত্রুটি চিহ্নিত করে তা শুধরে নেয়া। কিন্তু নিজেদের ভুল তো আর নিজেরা ধরতে কেউ সক্ষম হয় না। তাই দরকার তাদের সমালোচনার জন্য প্রতিপক্ষকে বিবেচনায় নেয়া। কিন্তু এখানেই তাদের যত গলদ। তারা তাদের সমালোচকদের কখনোই সহ্য করতে পারেন না। সমালোচকদের কথায় তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন। তাদের কার্যক্রমকে নিন্দা করলে তা তাদের কাছে বিষবৎ মনে হয়। এজন্য তাদের মাসুলও দিতে হয়েছে। দেশের মানুষ এ কারণে তাদের স্বপ্নের সারথী হতে পারেনি। তারা এটা ভেবে দেখেন না যে, তাদের যারা প্রতিপক্ষ তারা শুধু এক নয় দেশের এক বিরাট সংখ্যক মানুষ তাদের সাথেও রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে গ্রাহ্য না করলে কখনই তাদের মন জয় করা সম্ভব হবে না। যারা ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখেন তাদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে উদার হতে হয়, সবাইকে নিয়ে চলার মানসিকতা থাকতে হয়। এর অভাব থাকলে স্বপ্ন পূরণে বাধা আসবেই এবং তা অধরাই থেকে যাবে। তাই আওয়ামী লীগের স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা সন্দেহ; কেননা তাদের নীতি অনেকটা একলা চলার মতো। এমন মানসিকতা সদিচ্ছার পরিচায়ক নয়।

সে যাই হোক, একথা অস্বীকার করার জো নেই যে, দেশ গণতন্ত্র নিয়ে সঙ্কটে রয়েছে। আর এই সঙ্কট সম্মিলিতভাবে মোকাবেলার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। কেননা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সফল না হলে দেশ কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাবে। তাতে যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন চাপের মুখে আছে যেগুলোরও বিলুপ্ত ঘটবে। অথচ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এসব প্রতিষ্ঠান বেড়ে ওঠার চেষ্টা করছিল। অতীতে দেশের মানুষ বহু ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করে সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে। তা ছাড়া এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও অবদান অস্বীকার করা যাবে না। মানুষের কল্যাণে অধিকতর উপযোগী শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি স্বীকৃত। এ কথা কারো ভুলে যাওয়া উচিত নয়। হ
ndigantababor@gmail.com

http://www.dailynayadiganta.com/post-editorial/421698