মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস চেয়ে আপিল আবেদনের শুনানি আগামী ২৪ জুন সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আপিল আবেদনের আংশিক শুনানি শেষে আগামী সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। বেঞ্চের অপর তিন বিচারক হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান।
এ টি এম আজহারের পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদিন তুহিন গতকাল দ্বিতীয় দিনেও মামলার পেপারবুক থেকে পড়েন। বুধবার তিনি ট্রাইব্যুনালের রায় পড়া শেষ করেন। এরপর তিনি মামলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়েন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের শুনানি শুরু হলে জয়নুল আবেদীন তুহিন আদালতে মামলার পেপারবুক পড়া শুরু করেন।
গত ১০ এপ্রিল এ টি এম আজহারের আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন তারিখ ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেয়া মুত্যুদণ্ডের সাজা থেকে খালাস চেয়ে ১১৩টি যুক্তি দেখিয়ে এ টি এম আজহার আপিল আবেদন করেন। আবেদনের সাথে সাতটি খণ্ডে দুই হাজার ৩৪০ পৃষ্ঠার দলিল দস্তাবেজ জমা দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ টি এম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে দোষী সাব্যস্ত করে তিনটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুটি অভিযোগে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।
২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের পৃথক ছয়টি ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সর্বমোট ১৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
২০১২ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে এ টি এম আজহারকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
