১৯ জুন ২০১৯, বুধবার, ৭:৪৩

অনুমতি মেলেনি নিজ শহরে॥ কড়া নিরাপত্তায় কায়রোতে চিরনিদ্রায় শায়িত মোহাম্মদ মুরসি

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে মঙ্গলবার ভোরে কঠোর গোপনীয়তায় রাজধানী কায়রোতে দাফন করা হয়েছে। এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সারকিয়া প্রদেশের নিজ শহরে তার দাফনের আবেদন জানালে তা দেয়নি সরকার। তবে কায়রোর নসর এলাকায় গোপনীয় ওই দাফনে মুরসির পরিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। মুরসির ছেলে আহমেদ মুরসি এবং তার আইজীবীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে ততার মৃত্যুর ঘটনাকে ভয়ংকর ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। তার মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবী করা হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও মুসলিম ব্রাদারহুড তাকে শহীদ আখ্যা দিয়ে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেছের। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, রাষ্ট্রপ্রধান ও নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

মুরসির পুত্র আহমেদ মুরসি জানান, কারা হাসপাতালে বাবাকে গোসল করিয়ে দেন। এরপর কারা হাসপাতালে জানাজা শেষে  চিরনিদ্রায় শায়িত হন মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া খবরে বলা হচ্ছে, মুরসির ভাই, স্ত্রী, পুত্র এবং দু’জন আইনজীবী তার জানাজায় অংশ নেন। তবে আনাদোলু এজেন্সির পক্ষ থেকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

আনাদোলু বলছে, স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় করা নিরাপত্তায় মুরসিকে দাফন করা হয়। আলজাজিরা জানায়, মুরসির আইনজীবী আবদেল মুনিম আবদেল মাকসুদ নিশ্চিত করেছেন, আল ওয়াফি ওয়া আয় আল আমিল কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।


১৭ জুন মিসরের একটি আদালতের এজলাসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মোহাম্মদ মুরসি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘আদালতের এজলাসে হঠাৎ পড়ে গিয়ে’ তার মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ মে তিনি আদালতে বলেছিলেন, তার জীবন হুমকির মুখে।


এদিকে মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। সোমবার ইস্তানবুল থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, জালিমের কারাগারে শহীদ হয়েছেন মুরসি। কারাগারে নিক্ষেপ করে যারা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে সেই জালিমদের ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না। এরদোয়ান বলেন, আমাদের চোখে মুরসি একজন শহীদ; যিনি তার বিশ্বাসের জন্য জীবন দিয়েছেন। ইতিহাস সেই একনায়ককে (জেনারেল সিসি) ক্ষমা করবে না, যে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে নির্যাতন করেছে এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার যাবতীয় চক্রান্ত করা হয়েছিল। আদালতে নিজের ওপর জুলুমের প্রতিবাদ করেছেন তিনি। মিসরের জনগণ ও নিজের ওপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মুরসির এ মৃত্যু জুলুমের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, রাজধানী কায়রোর আদালতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে আঁতাতসংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় মুরসি দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখছিলেন। প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় মুরসিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মুরসির মৃত্যুর ঘটনা ভয়ঙ্কর: সোমবার কারাগারে মৃত্যু হয় মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একমাত্র প্রেসিডেন্ট মুরসির। এ খবর পাওয়ার পর এক টুইটবার্তায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক পরিচালক সারাহ লি উইটসন বলেন, মুরসির মৃত্যুর ঘটনা ভয়ঙ্কর। তবে এটি অনুমেয়। কারণ দেশটির সরকার মুরসিকে সঠিক চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, মিসরের সেনাশাসিত সরকার মুরসিকে বছরের পর বছর বিনা চিকিৎসায় জেলে ভরে রেখেছে। জেলে থাকাবস্থায় তাকে নিয়মিত ওষুধ খেতে দেয়া হয়নি। এমনকি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি, তার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতেও দেয়া হয়নি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই কর্মকর্তা বলেন, মিসরের একনায়ক সরকার মুসরিকে ন্যূনতম বন্দি অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে। তার প্রতি স্পষ্টত মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে মুরসির স্বাভাবিক মৃত্যুর প্রমাণ দাবি করছি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) দাবি করেছে, কারাগারে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে মোহাম্মদ মুরসিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে দেশটির সরকার। আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংস্থাটি মুসরির মৃত্যুর বিষয়ে নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে জাতিসংঘের কাছে দাবি জানিয়েছে।

মুরসিকে ধীরে ধীরে হত্যা করা হয়েছে: মিসরের বিচার বিভাগীয় একটি সূত্র বলছে, আদালতে তার বিচারের শুনানিতে বিরতি চলার সময় তিনি মূর্ছা যান। গুপ্তচরবৃত্তির মামলার একটি অধিবেশন সবে শেষ করেছেন আদালত কর্মকর্তারা। তখন বিচারককে তারা জানান, মুরসি মূর্ছা গেছেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুরসি শেষ বারের মতো নিজের পরিবারের দেখা পান। তার মাস খানেক পরে তার আবদাল্লাহ নামের এক সন্তানকে আটক করে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ। তার আইনজীবী দলের সদস্য আবদেল মাকসুদ ২০১৭ সালের নভেম্বরে সাবেক এই ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্টের দেখা পেয়েছিলেন।

তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধীরে ধীরে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা দ্য ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, মুরসিকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি। দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খেতে দেয়া হয়েছে। মৌলিক মানবাধিকারের সবকিছু থেকে তাকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আর এতে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে তাকে।

মুরসির মৃত্যু ও তার আটকাবস্থা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে মিসরীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচও একই দাবি করেছে। তারা বলছে, বছরের পর বছর ধরে মুরসিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, মিসরের চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি তদন্ত করা উচিত। বিশেষ করে সেখানের কারাগারগুলোতে ব্যাপক নিষ্ঠুরতা ও মুরসির মৃত্যু নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।

তুরস্ক জুড়ে গায়েবানা জানাজায় জনতার ঢল : অংশ নিলেন এরদোগান: তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুসরির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। এসব গায়েবানা জানাজায় হাজার হাজার মানুষের জনসমাগম ঘটে। তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক দপ্তরের পক্ষ থেকে তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের সকল মসজিদে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়েছে।

ইস্তাম্বুলের ফেইত মসজিদের মুরসির গায়েবানা জানাজায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়া আঙ্কারায় অবস্থিত মিসরের দূতাবাসের বাইরে শত শত তুর্কি মুরসির মৃত্যুতে বিক্ষোভ করেছে।

মিসরের শহীদ সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মিসরে মুরসির জানাজার সময়ে সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার তুরস্কে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। খবর ইয়েনি শাফাকের।

এক টুইট বার্তায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির মুখপাত্র ওমের সেলিক বলেন, প্রেসিডেন্ট তার প্রতীকী জানাজায় অংশগ্রহণ করবেন। এটি জেরুজালেম থেকে ইস্তান্বুল পর্যন্ত; এটি তুরস্ক ও বিশ্বের সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করবে।

তুরস্কের ধর্মীয় বিষয়ক পরিচালক বলেন, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির গায়েবানা জানাযা মঙ্গলবার দেশজুড়ে সব মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সোমবার এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে, দেশটির ধর্মীয় প্রধান আলী এরবাস আঙ্কারার হাকি বায়রাম মসজিদে তার জানাজায় ইমামতি করবেন।

ফিলিস্তিনে ৩ দিনের শোক: মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসির আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত গোটা মুসলিম বিশ্ব। ফিলিস্তিনের প্রতি ভিন্নরকম টান ছিল মোহাম্মদ মুরসির। ফিলিস্তিনি ইস্যুতে সবসময় সোচ্চার ছিলেন মিসরের সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।

তাই মুরসির মৃত্যুতে স্বভাবতই ফিলিস্তিনবাসী বেশি শোকাহত। ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে সোমবার রাতেই মোহাম্মদ মুরসির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা আল-আন অনলাইনের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে গাজা উপত্যকা ও ফিলিস্তিনি ইস্যুতে মুরসির অবস্থানের কথা স্মরণ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

গাজা শাসন করা সংগঠনটির সোমবারের বিবৃতিতে উপত্যকাটির এক দশকের অবরোধ তুলে নিতে মুরসির অবস্মরণীয় ও সাহসী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন মুরসির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি যুবকদের কয়েকটি সংগঠন মুরসির মৃত্যুতে দেশজুড়ে তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার থেকে তিনদিন শোক পালন করছেন তারা। মঙ্গলবার গাজা, পশ্চিমতীরসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। অকৃত্রিম এ বন্ধুকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান ফিলিস্তিনবাসী।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, রাজধানী কায়রোর আদালতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে আঁতাতসংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় মুরসি দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখছিলেন। প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় মুরসিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মেদিনাত নাসর শহরে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

মিসরের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। টানা ১৮ দিনের গণআন্দোলনে মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। মোহাম্মদ মুরসি মুসলিমপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরের সারির নেতা ছিলেন।

তিনি ২০১২ সালে জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। তবে ক্ষমতার এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালে মিসরের সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

মিসরের আদালত মুরসিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। সে সময় মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। মুরসির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন।

২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালের জুন মাসে তথ্য পাচারের এ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিম্ন আদালত। আদালত দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।

https://www.dailysangram.com/post/379632