১৯ জুন ২০১৯, বুধবার, ৭:৩১

এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল আবেদনের উপর শুনানি শুরু হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার আপিলকারীর পক্ষে সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করায় প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। এই আপিল বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।

গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া শুনানি চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। পরে আজ বুধবার আবারো শুনানির দিন ধার্য করে গতকালের শুনানী মুলতবী ঘোষণা করা হয়। এটিএম আজহারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদিন তুহিন। তিনি গতকাল এ মামলায় পেপারবুক থেকে পড়েন। এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে আনিত ছয়টি অভিযোগের তিনটির বিষয়ে গতকাল পড়া শেষ হয়। আজ পেপারবুক থেকে বাকি তিনটি বিষয়ে পড়া শেষ হলে মামলার বিষয়ে আর্গুমেন্ট করবেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল শুনানির শুরুতে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তখন আপিল বিভাগ বলেন, এতদিন কী করেছেন? আর সময় দেয়া হবে না। শুনানি শুরু করেন। পরে দেখা যাবে। তখন জয়নাল আবেদীন আপিলের পেপারবুক থেকে পড়া শুরু করেন।

গত ১০ এপ্রিল শুনানিতে আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ রোজা ও ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি এবং সুপ্রিম কোর্টের অন্য ছুটির পর ১৮ জুন আজহারুল ইসলামের আপিল দুটির শুনানি দিন ধার্য করেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

প্রসিকিউশনের আনা নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করে আদালত।

এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে। ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

https://www.dailysangram.com/post/379648