২৩ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:৪২

দেশে বেকারত্বের বিস্ফোরণ

  • নীরবে হচ্ছে কর্মী ছাঁটায়- গার্মেন্টস থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি পর্যন্ত
    * বড় বড় কোম্পানির ব্যবসা সংকুচিত হচ্ছে
    * নতুন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে
    * দেশের ব্যবসা বাণিজ্য নিম্নমুখী ফলে নতুন কোনো কর্মসংস্থান হচ্ছে না
  • মুহাম্মদ নূরে আলম : দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোর ব্যবসা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রকৌশল খাতের ইস্টার্ন কেবলস, এ্যাপোলো ইস্পাত ও আফতাব অটোমোবাইলস, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, বস্ত্র খাতের জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস এবং বিবিধ খাতের ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিগুলোর রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এছাড়া সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরেও কোম্পানিগুলোর মুনাফা ছিল নিম্নমুখী। আর এরই ফলে নিরবে হচ্ছে কর্মী ছাঁটায় গার্মেন্ট থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি পর্যন্ত। দেশের ব্যবসা বাণিজ্য নিম্নমুখী ফলে নতুন কোনো কর্মসংস্থান হচ্ছে না।
  • গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিউটিফুল জ্যাকেট লিমিটেডের বেকার হওয়া ২৫০ জন শ্রমিক বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন করে। এইভাবে প্রায় প্রতিসপ্তাহে কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছাটায়ের মাধ্যমে বেকার হচ্ছে। বেসরকারি এইচআর রিক্রুটার এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজমেন্টের (আইআইটিএম) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, দুই বছরের ব্যবধানে অর্থাৎ ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তাদের মাধ্যমে নিয়োগ কমেছে প্রায় ৩৫ শাতংশ। অথচ, এর বিপরীতে নিয়োগ প্রত্যাশিদের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। সরল এই সমীকরণের সঙ্গে এক মত সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়ছে না। বিশেষ করে শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে বিনিয়োগের ঘাটতি রয়েছে বলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে না।
  • প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় গবেষণা সংস্থা বিবিএস’র (বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস) দেয়া হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন বেকার। আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘এশিয়া-প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ২০১০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে ২০১৭ সালে ১২ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২৮টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের ওপরে আছে কেবল পাকিস্তান।
  • এদিকে শুধু ইলেক্ট্রিক্যাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানই নয়। ছাঁটাই হয়েছে এ্যাপোলো ইস্পাতে, এডেক্স করপোরেশনে, মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠান রবি ও গ্রামীণফোনসহ নানা প্রতিষ্ঠানে। গ্রামীণফোনের বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক বহুজাতিক টেলিকম কোম্পানি ‘টেলিনর’ ২ বছর আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে জনবল ছাটাইয়ের। তবে বড় ছাটাই হয়েছে ফারইস্ট লাইফ ইন্সুয়েরেন্সে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি এসআলম গ্রুপের হাতে যাওয়ার পরই শুরু হয়েছে অনৈতিকভাবে ঢালাও ছাঁটাই প্রক্রিয়া। বিশেষ করে গত অক্টোবর থেকে চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে কর্মকর্তা ও কর্মচারী পর্যায়ের দুই হাজারের অধিক জনবল ছাঁটাই করা হয়েছে। যাদের কেউ কেউ সকালে অফিসে গিয়ে দেখছেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনে একসেস নিচ্ছে না। খোঁজ নিতে গিয়ে জানছেন চাকরি নেই। কাউকে আবার বিকেলে অফিস থেকে বার হবার সময় হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে চাকরিচ্যুতির চিঠি। যাদের অধিকাংশ এখনও চাকরির সংস্থান করতে পারেননি। এ প্রক্রিয়ায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাটাই হওয়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক কর্মকর্তার বক্তব্যে উঠে এসেছে গোটা সেক্টরের ঝুঁকির চিত্র। তিনি বলেন, কাজের জন্য জানা-শোনা অনেক প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেছি। তারা বলছেন- ‘নিয়োগ নয়। আমাদেরকেও ছাটাই প্রক্রিয়ায় যেতে হবে’।
  • এদিকে বাংলাদেশ সরকারের মুখে যখন দেশটির অর্থনীতি কানাডার সমান হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে তখন আরেক দিকে শোনা যাচ্ছে দেশটির বাণিজ্যিক, দেশী-বিদেশী করপোরেট ও সেবা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি নাই, আয় কমে গেছে, বাজেট সংস্থান হচ্ছে না ইত্যাদি কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাইয়ের ঘটনা। এর ফলে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) দেয়া হিসাবে দেশটিতে বছরে শ্রমশক্তিতে যুক্ত হওয়া ৮ লাখ বেকারদের মিছিল আরও দীর্ঘ হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এই ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় বেকার হওয়া এক বাবার ‘সন্তানের জন্য গুড়া দুধ চুরি’ করার ঘটনা। যাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধাঁধাঁ বলছেন নীতি গবেষকরা। তাদের মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে ন্যারেটিভস শোনা যাচ্ছে তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা প্রবৃদ্ধির সঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সামঞ্জস্য বিগত কোন আমলেই ছিলনা। তবে বিনা নোটিশে, নিরব ছাঁটাইয়ের এ প্রক্রিয়া অবশ্যই বেকারত্ব বৃদ্ধিতে নতুন অনুসঙ্গ।
  • ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেড চলতি ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করেছে, যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির রাজস্ব ছিল ১১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির রাজস্ব ৭৮ দশমিক ২৪ শতাংশ কমেছে। আর রাজস্ব কমে যাওয়ার প্রভাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিকে ৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা কর-পরবর্তী লোকসান গুনতে হয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ের ১ কোটি ২১ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছিল। এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ৩৫ লাখ টাকা কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ইস্টার্ন কেবলসের, যেখানে এর আগের বছরে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছিল।
    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান, যারা বিক্রি করছে সাব স্টেশন, জেনারেটর, সুইচগিয়ার, ট্রান্সফরমার এবং বাসবার ট্রাংকিং সিস্টেমসহ (বিবিটি) নানা ধরনের ইলেক্ট্রিক্যাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কর্মকর্তা ও মাঠপর্যায়ের ৩৫ শতাংশ জনবল ছাটাই করেছে। এই ছাটাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়াদের মধ্যে দুই জন শীর্ষ বিপণন কর্মকর্তা রয়েছেন। কারণ তাদের অধীনে বিক্রি কমেছে ৪৪ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক বিক্রিও কমে গেছে। বিগত বছরগুলোর বিক্রির হার বিবেচনায় রেখে চলতি বছরে ৬০ কোটি টাকা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিক্রি হয়েছে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৪৩ শতাংশ কম।
  • জানতে চাইলে ইস্টার্ন কেবলসের কোম্পানি সচিব মো. এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো হচ্ছে আমাদের পণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। কিন্তু চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে আমরা সেভাবে তাদের কাছ থেকে ক্রয়াদেশ পাইনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আগের বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের রাজস্ব কমে গেছে। তবে বিক্রি বাড়ানোর জন্য আমাদের দিক থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
    এদিকে এপ্রিল থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র গরম। সাধারনত প্রতিবছর এধরনের গরমে চাহিদা বাড়ে ইলেক্ট্রিক ফ্যানের। এই সময়ে ফ্যান কোম্পানিগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ শতাংশ বাড়িতে দামে বিক্রি করে ফ্যান। কিন্তু ফ্যান বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলছেন, গরমের মাত্রা বাড়ছে কিন্তু বিক্রি বাড়ছে না। তারা জানান, আগে যেখানে প্রতি সপ্তাহে একেকজন ২৪০টি ফ্যান অনায়াসে বিক্রি করতে পারতেন। বর্তমানে সেখানে ১৩০টি বিক্রি করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আর এই বিক্রি কমে যাওয়াতে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পরেছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। তাদের মধ্যে থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ইউনিটের বেশ কয়েকজনকে ছাটাই করা হয়েছে। যাদেরকে রাখা হয়েছে তাদেরকেও রিডিউস স্যালারির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে সংসার নিয়ে চলতে হলে ওই রিডিউস স্যালারিতে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
  • চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রাজস্ব আয় হয়েছে ২১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির রাজস্ব কমেছে ৬৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। রাজস্ব কমার কারণে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ১১ কোটি ২২ লাখ টাকা কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের পাশাপাশি গ্যাসের স্বল্পতার কারণে গত বছরের মে মাস থেকেই মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের কারখানার অর্ধেক রোটর মেশিন বন্ধ রয়েছে। আর এতে কোম্পানিটির উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। যার প্রভাব পড়েছে কোম্পানির বিক্রি ও মুনাফায়। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির রাজস্ব আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে ২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
  • মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের কোম্পানি সচিব হারিস আলম বলেন, আশা করছি, এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে নতুন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হবে। এতে আগামী হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে কোম্পানির ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছি। প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের রাজস্ব আয় চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ২০৯ কোটি ২২ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে রাজস্ব ছিল ৩১৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির রাজস্ব কমেছে ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা হয়েছে।
  • জানতে চাইলে আফতাব অটোমোবাইলসের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কাজী এহসানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানির সব খাতেই ব্যবসা ভালো হয়নি। এ কারণে উল্লেখযোগ্য হারে বিক্রি কমে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে মুনাফাও কমেছে। পোলট্রি, মত্স্য ও গবাদিপশুর খাদ্য উৎপাদনকারী বিবিধ খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেডের রাজস্ব চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ কমে ৬৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর একে এই সময়ের বড় ধাঁধাঁ বলছেন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির গল্প একটা আমরা শুনছি। কিন্তু এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কোন লক্ষণ দেখছিনা। বরং কর্মী ছাটাই হচ্ছে। অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে তরুণদের বিদেশে চলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাছাড়া এখনও নির্ভরশীলতা তৈরি পোশাক শিল্প ও রেমিটেন্সের ওপর। তার মানে বলতে হচ্ছে-কোথায় যেন মিসম্যাচ হচ্ছে।

http://www.dailysangram.com/post/376607