৫ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, ৭:৪১

এফবিসিসিআই নির্বাচন

বিনা ভোটে সবাই জয়ী

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ২০১৯-২০২১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পরিচালক পদে তিনজন ছাড়া বাকি ৩৯ জনের মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে বৈধতা পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন এফবিসিসিআইয়ের বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে। কোনো পদেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এসব পদে আর নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে বৈধ ঘোষিত সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী।

যে তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন- বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু ও রাঙামাটি চেম্বারের সভাপতি বজলুর রহমান। এই তিনজনেরই ঋণখেলাপির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। গতকাল ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন। এসব প্রার্থী এখন আপিল করতে পারবেন। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলে তারাও পরিচালক নির্বাচিত হবেন। আর প্রার্থিতা ফিরে না পেলে নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভায় এই তিন পদে নতুন তিনজনকে কো-অপ্ট করা হবে। উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটাভুটির যে প্রয়োজন হচ্ছে না, তা জানা গিয়েছিল গত ২৫ মার্চ। ওই দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ৪২টি পরিচালক পদে ৪২ জনই শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আগামী ১৫ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, ১৭ এপ্রিল পরিচালকরা ভোট দিয়ে সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করবেন। এবার সংগঠনটির সভাপতি পদে বর্তমান সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম একমাত্র প্রার্থী। ফলে এ পদেও ভোট হবে না। আর সিনিয়র সহসভাপতি পদে প্রার্থী আছেন চারজন। এবার এ পদে অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে নির্বাচিত হবে। প্রার্থীরা হলেন- মুনতাকিম আশরাফ, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, হাবিবুল্লাহ ডন ও আবু নাসের। এ ছাড়া সহসভাপতি নির্বাচিত হবেন চেম্বার গ্রুপ থেকে। এ পদে প্রার্থী হচ্ছেন দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, হাসিনা নেওয়াজ ও সাবিতা মিল্লাত।

সব মিলিয়ে সংগঠনটিতে মোট পরিচালক পদ ৭২টি। এসব পদ আবার দু'ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে ৩৬টি পদে পরিচালক হন দেশের জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা চেম্বার থেকে। আর ৩৬টি পদ সংরক্ষিত পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর জন্য। ৭২টি পরিচালক পদের মধ্যে ৪২টিতে সাধারণ সদস্যরা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করেন। বাকি ৩০টি পদে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সংগঠন থেকে মনোনীত পরিচালক হন। কোন কোন সংগঠন থেকে পরিচালকরা মনোনীত হবেন, তা ঠিক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জেলা চেম্বার ও পণ্যভিত্তিক সদস্য সংগঠনগুলো এফবিসিসিআইর সাধারণ সদস্য, যাদের ভোটাধিকার রয়েছে।

চেম্বার গ্রুপের যাদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে : শেখ ফজলে ফাহিম, হাসিনা নেওয়াজ, মাসুদুর রহমান মিলন, আজিজুল হক, দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. রেজাউল করিম রেজনু, গাজী গোলাম আশরিয়া, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসাইন খান, মো. কহিনুর ইসলাম, প্রবীর কুমার সাহা, মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মোহাম্মদ রিয়াদ আলী, মো. হাসানুজ্জামান, হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান, এএইচ আহমেদ জামাল, সাবিতা মিলল্গাত এবং সুজীব রঞ্জন দাস ও একেএম শাহেদ রেজা।

অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের যাদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে : মুনতাকিম আশরাফ, খন্দকার রুহুল আমিন, আবু মোতালেব, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি, মো. হাবিব উলল্গাহ ডন, শাফকাত হায়দার, হেলেনা জাহাঙ্গীর, আমজাদ হুসাইন, নিজাম উদ্দিন রাজেশ, এসএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, মো. আবুল আয়েস খান, আবু নাসের, খন্দকার মইনুর রহমান (জুয়েল), হাফেজ হারুন অর রশিদ, আবদুল হক, মেহেদী আলী, মো. মুনির হোসাইন এবং কাজী শোয়েব রশিদ।

https://samakal.com/economics/article/1904340