১০ মার্চ ২০১৯, রবিবার, ১২:২৪

ডিসেম্বরের ইলেকশনের মতোই ডাকসুর ইলেকশন হওয়ার আশঙ্কা

গত রবিবার ৩ মার্চ থেকে গত শনিবার ৯ মার্চ- এই ৭ দিনে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। দেশের মধ্যে তিনটি ঘটনা এবং দেশের বাইরে অন্তত একটি ঘটনা উল্লেখের দাবিদার। দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি ঘটনা হলো (১) আগামী কাল সোমবার ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন। (২) ধানের শীষ প্রতীকে গণফোরামের প্রার্থী সুলতান মনসুরের সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ এবং (৩) ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট হয়েছে বলে সিইসি নুরুল হুদার পরোক্ষ স্বীকারোক্তি। দেশের বাইরের যে খবর সেটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেটি হলো ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ লাগতে লাগতে থেমে গেছে। বিশ্ববাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। কারণ তাদের মধ্যে যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ লেগে যেতো তাহলে সেটি পারমাণবিক যুদ্ধে রূপান্তরিত হতো। একটি কলামে ৪টি বিষয় আলোচনা করা সম্ভব নয়। কারণ স্থান সংকুলান সমস্যা। তাই দেশের ৩টি ঘটনা নিয়েই আলোচনা করবো। তবে সেগুলোও সংক্ষেপে আলোচনা করতে হবে। কারণ প্রতিটি বিষয়ই আলাদা করে কলাম লেখার গুরুত্ব দাবি করে।

প্রথম ডাকসু ইলেকশন। নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, সুদীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু ইলেকশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি যা কিছুই লিখছি সব কিছুই স্মৃতি থেকে লিখছি। ডাকসুর নির্বাচিত সর্বশেষ ভিপি এবং জিএস ছিলেন যথাক্রমে ছাত্রদলের আমান উল্লাহ আমান এবং খায়রুল কবির খোকন। এরা দুজনেই আজ কেন্দ্রীয় নেতা। আমান একবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ডাকসুর গুরুত্ব নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এই ডাকসু থেকেই পয়দা হয়েছেন সেই পুরোনা আমলের অধ্যাপক গোলাম আজম ও মৌলভী ফরিদ আহমেদ। এই ডাকসুই জন্ম দিয়েছিল ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক তোফায়েল আহমেদকে। তিনি পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের একজন বড় নেতা। এই ডাকসু থেকেই উত্থান ঘটেছিল মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের, যার আমলে ভিয়েতনাম ইস্যুতে স্বাধীনতার পরপরই ঢাকার সেগুন বাগিচায় এক ছাত্র মিছিলে পুলিশ গুলীবর্ষণ করে এবং দুইজন ছাত্র নিহত হন। স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন সদস্যের সম্মাননা দেয়া হয়। স্বাধীনতার পরপরই সেগুন বাগিচায় পুলিশের গুলীবর্ষণের প্রতিবাদে ডাকসুর ভিপি হিসাবে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম শেখ মুজিবের আজীবন সদস্য পদের সম্মাননা পত্রটি প্রকাশ্য ছাত্র জনসভায় ছিঁড়ে ফেলেন। এর পর সেলিম ও ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যদের ওপর শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাইকারি হামলা। ওরা আত্ম গোপনে গিয়ে বেঁচে যান।

এই ডাকসুই জন্ম দেয় বর্তমানে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার। তিনি পরপর দুই বার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি। তার সাথে জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন আখতারুজ্জামান যিনি পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ডাকসুর আর দুইজন প্রোডাক্ট হলেন জিয়া উদ্দিন বাবলু এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। বাবলু ডাকসুর জিএস ছিলেন। পরবর্তীতে পথভ্রষ্ট হয়ে তিনি স্বৈরাচারী এরশাদের দলে যোগদেন এবং মন্ত্রী হন। আরেকজন পথভ্রষ্ট নেতা হলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

মনসুর এবার ঐক্যফ্রন্টের টিকিটে নির্বাচন করেন এবং বিরোধী দলের অভিযোগ মোতাবেক সরকারের সাথে গোপন যোগসাজশের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত হন। মনসুরসহ ঐক্যফ্রন্ট থেকে ৮ জন এমপি হয়েছেন। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে এই যে যেহেতু ৩০ তারিখের নির্বাচন হয়েছে একটি মহাভোট ডাকাতি এবং যে নির্বাচনের মূল ভোট হয়েছে ২৯ তারিখ রাতে তাই ঐক্যফ্রন্টের এই ৮ জন সদস্যের কেউই এমপি হিসাবে শপথ নেবেন না। কারণ ঐক্যফ্রন্ট মনে করে যে ৩০ তারিখে কোনো নির্বাচনই হয়নি। অতএব তারা একাদশ সংসদকে কোনো বৈধ এবং নির্বাচিত সংসদ বলে মনে করেন না। যেহেতু সংসদকে বৈধ বলে মনে করেন না তাই সেই সংসদের মাধ্যমে গঠিত সরকারকেও তারা বৈধ মনে করেন না এবং সেজন্য স্বীকারও করেন না।

কিন্তু বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের এই সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সুলতান মনসুর শপথ গ্রহণ করেছেন। এটিকে সমগ্র বিরোধী দল এবং সমগ্র দেশবাসী বেইমানি বলে মনে করছেন। যে গণফোরাম থেকে মনসুর নমিনেশন পেয়েছেন সেই গণফোরাম প্রধান ড. কামাল হোসেন মনসুরের শপথের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন যে টাকা দিয়ে গরু ছাগলের মাথা কেনা যায়, কিন্তু মানুষের মাথা কেনা যায় না। মনসুর শপথ গ্রহণের পর ৪ ঘন্টার মধ্যেই গণফোরাম সভা করে মনসুরকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার করে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে শপথ গ্রহণ করে সুলতান মনসুর সমগ্র জাতির সাথে প্রতারণা করেছেন।

॥দুই॥
কিন্তু সুলতান মনসুর বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেছেন যে, দলের অর্থাৎ গণফোরামের অনুমোদন নিয়েই তিনি শপথ নিয়েছেন। তিনি একথাও এর আগে বলেছেন যে, তার শপথ গ্রহণের ব্যাপারে দলীয় প্রধান ড. কামালের মনোভাব ইতিবাচক। একই কথা বলছেন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত আরেকজন এমপি মোকাব্বির খান। তিনিও ফ্লুকে নমিনেশন পেয়েছেন এবং সরকারের সাথে গোপন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি যে নির্বাচনী এলাকা থেকে তথাকথিত এমপি হয়েছেন সেটি আসলে বিএনপির সংগ্রামী নেতা ইলিয়াস আলীর দুর্ভেদ্য দুর্গ। আজ থেকে ৫/৬ বছর আগে এক নাম না জানা কিন্তু অত্যন্ত ক্ষমতাসীন শক্তি রাজধানীতে রাতের আঁধারে তার গাড়ি আটকায় এবং তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারপর বেশ কয়েক বছর গড়িয়ে গেছে। কিন্তু ইলিয়াস আলী আর ফিরে আসেননি। তিনি কি আজও বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, অথবা তাকে মেরে ফেলা হয়েছে সেটি আজও কেউ জানে না। ইলিয়াস আলী যেহেতু ফিরে আসেননি তাই গত নির্বাচনে তার পতœী লুনাকে নমিনেশন দেয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তার নমিনেশন পেপার বাতিল হয় তখন ঐ আসনে ড. কামাল হোসেন মুকাব্বির খানকে নমিনেশন দেন। মুকাব্বির খান গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেও এলাকার সাথে তার কোনো সংযোগ নাই। কারণ তিনি লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তার নমিনেশন পাওয়া এবং নির্বাচন করা অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো। সেই ব্যক্তিকে সরকার এবং প্রশাসনের সাহায্যে নির্বাচনে জয়ী করে আনা হয়।

এখন তিনিও বলছেন যে তিনি শপথ নেবেন। মনসুরের মতো তিনিও বলছেন যে, তার শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে তার দল গণফোরামের সমর্থন রয়েছে। গত শুক্রবার ৮ মার্চ বাংলা ভিশনের রাত সাড়ে ১০টার সংবাদ বুলেটিনে মুকাব্বিরের স্বকন্ঠ বক্তব্য প্রচার করা হয়। তিনি বলেন যে, তার দল তাকে শপথ গ্রহণের অনুমতি ঠিকই দিয়েছে। তবে বলা হয়েছে যে তিনি যেন ৭ই মার্চের পর শপথ নেন। ৭ই মার্চ পার হয়ে গেছে। অতএব তিনি যে কোনো দিন শপথ নেবেন। মুকাব্বিরের এই বক্তব্য টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হওয়ার পরপরই গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বাংলা ভিশনে বলেন, মোকাব্বির খান যদি শপথ গ্রহণ করেন তাহলে মনসুরের মতই তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে সাংগঠনিক ব্যবস্থা বলতে বহিষ্কারই বোঝাচ্ছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, গণফোরামের তরফ থেকে মন্টু যা বলছেন তার সাথে মনসুর এবং মোকাব্বিরের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। কে সত্য কে মিথ্যা, সেটি আল্লাহ জানেন। তবে সমগ্র দেশ এই নির্বাচনের বিরোধী। তাই পাবলিক পারসেপশন হলো মনসুর এবং মোকাব্বির মিথ্যা কথা বলছেন।
কিন্তু দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিন্ন কথা। তাদের কথা হলো এই ধরনের ব্যক্তিবর্গকে আদতেই নমিনেশন দেওয়া হলো কেন? অন্তত বিএনপি কিভাবে রাজি হলো? কারণ মনসুর বলছেন, তিনি অতীতেও আওয়ামী লীগার ছিলেন, এখনও আওয়ামী লীগার আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

সরকার বিরোধী রাজনৈতিক জোট থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে এলেও তিনি আদর্শ বিচ্যুত হননি। ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ প্রশ্নে কোনো আপস হবে না। তিনি বলেন, সরকার প্রধান হিসাবে সংসদ নেতাকে ধন্যবাদ জানাই, অন্তত আমার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনে সেভাবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অন্য কোথাও ঘটেছে কি না ঘটেছে, তা অন্যদের বিবেকের আদালতে নিজেরাই বলতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু যেপথে এগেিয় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে পথে যাচ্ছে উল্লেখ করে সুলতান মনসুর বলেন, সংসদ নেত্রী জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন। সেই জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করে বঙ্গবন্ধুর মতো জাতীয় মনোভাব নিয়ে এগিয়ে গিয়ে জনগণের আশা আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে।

॥তিন॥
আমার কথা হলো, এই ধরনের কট্টর আওয়ামী লীগারকে গণফোরাম নমিনেশন দিলেও সেই নমিনেশন বিএনপি অনুমোদন করে কিভাবে? মোকাব্বিরও শপথ নেবেন। তার বিষয়টি শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। যারা দলীয় ডিসিপ্লিন মানেন না তাদেরকে এমপির মতো একটি মর্যাদাশীল পদে নমিনেশন দেয়া হয় কিভাবে? এখন অসংখ্য মানুষকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে বিএনপির কি নমিনেশন দেয়ার মানুষের আকাল পড়ে গিয়েছিল?

ফিরে আসছি ডাকসুর কথায়। আগামী কাল ডাকসু নির্বাচন। একটি গ্রাম্য প্রবাদে বলা হয় যে, আগের হাল যায় যেদিকে পিছের হালও যায় সেদিকেই। ২৯ ও ৩০ তারিখে মহাভোট ডাকাতি করে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থার একটি নতুন কালচারের জন্ম দেয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ ভোট ডাকাতি করে সাথে সাথেই উপজেলা এবং ডাকসু নির্বাচন দেয়া হয়েছে। মিশরের হুসনি মোবারক, তিউনিশিয়ার বেন আলী অথবা সোভিয়েট ইউনিয়নের স্ট্যালিনের মতো ৩০ থেকে ৩৫ বছর রাজত্ব করার টার্গেট নিয়ে এই সরকার এগুচ্ছে। জাতীয় সংসদ দখল করার পর এখন উপজেলা এবং ডাকসুও দখল করা হবে।

ডাকসু অতীতে বিশেষ করে পাকিস্তান আমলে সমস্ত সরকার বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার। সেই ডাকসুকে কোনো অবস্থাতেই বিরোধী দলের হাতে এই সরকার ছেড়ে দেবে না। সেজন্যই বিশ^বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা না করে হলে হলে ভোট গ্রহণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ও ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের মতোই ডাকসু ইলেকশনও সরকার বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো যেসব দাবি দাওয়া দিয়েছিল তার একটিও মানা হয়নি। তারপরেও ছাত্রদল এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠন সহ কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতারাও এই ইলেকশনে যোগ দিয়েছেন। পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের মতোই ডাকসু নির্বাচনেরও ফলাফল হবে একই রকম। অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং দুই বারের নির্বাচিত ভিপি মান্না বলেছেন যে ৩/৪টি হল হয়তো সরকার বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোকে দেয়া হবে। অবশিষ্ট সবগুলো হল এবং ডাকসু ছাত্রলীগ দখল করবে। তাহলে ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে কোনো রকম আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাতের সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে। এক দিন পর অর্থাৎ আগামী কাল বোঝা যাবে, ডাকসু নিয়ে সরকারের মতলব কি।

ইতোমধ্যেই লেখাটি বড় হয়ে গেছে। তাই ২৯ তারিখ রাতে ভোট হয়েছে বলে চিফ ইলেকশন কমিশনার নূরুল হুদা যে পরোক্ষ স্বীকৃতি দিয়েছেন সেব্যাপারে আর লেখা সম্ভব হচ্ছে না। আগামীতে কোনো জরুরী টপিক না থাকলে এই বিষয়ে লেখার ইচ্ছা রাখি। Email:asifarsalan15@gmail.com

http://www.dailysangram.com/post/367892