সাড়ে ৩ কোটি টাকার পণ্যসহ ৭টি কাভার্ড ভ্যান আটক
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ১:১৭

বন্ডের পণ্য খোলাবাজারে

সাড়ে ৩ কোটি টাকার পণ্যসহ ৭টি কাভার্ড ভ্যান আটক

বন্ডের কাপড় খোলাবাজারে বিক্রির ঘটনা থামছেই না। একাধিকবার জাতীয় রফতানি ট্রফিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের অপকর্মে জড়িত। সর্বশেষ রোববার রাতে সাড়ে ৩ কোটি টাকার পণ্যসহ ৭টি কাভার্ড ভ্যান আটক করেছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। এসব কাভার্ড ভ্যান বিক্রির উদ্দেশ্যে পুরান ঢাকার ইসলামপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।


সূত্র জানায়, বন্ডের আওতায় আনা ফেব্রিক্স পুরান ঢাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে একজন যুগ্ম কমিশনারেটের তত্ত্বাবধানে বন্ড কমিশনারেটের দুটি প্রিভেন্টিভ দল জিরো পয়েন্ট, ইসলামপুর, বিরুলিয়া, গুলিস্তান সংলগ্ন বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩ কোটি টাকার পণ্যসহ ৭টি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়। কাভার্ড ভ্যানে ফেব্রিকস এবং এসিটিক এসিড, পিপি দানা ও ডেনিম ফেব্রিকস ছিল।

জানা গেছে, রোববার রাতে উপকমিশনার রেজভী আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত দল জিরো পয়েন্ট ও ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ৪টি কাভার্ড ভ্যান আটক করে। এসব ভ্যানে বিভিন্ন প্রকার ফেব্রিকস এবং এসিটিক এসিড ছিল। বন্ড সুবিধায় এসব পণ্য আমদানি করেছে যথাক্রমে গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস, খান এন্টারপ্রাইজ, নীপা গার্মেন্টস এবং নোমান গ্রুপ।

অপরদিকে সহকারী কমিশনার আল আমিনের নেতৃত্বে গঠিত দলটি বিরুলিয়া বেড়িবাঁধ ও গুলিস্তান এলাকায় ধাওয়া করে ৩টি কাভার্ড ভ্যান আটক করে। এতে পিপি দানা ও ডেনিম ফেব্রিকস ছিল। বন্ড সুবিধায় এসব পণ্য আমদানি করে উত্তরা ইপিজেডের ফারদিন এক্সেসরিজ লিমিটেড এবং শ্রীপুরের নাইস ডেনিম লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, নোমান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে একাধিকবার রফতানি ট্রফি পেয়েছে। নাইস ডেনিমও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

সূত্র আরও জানায়. আটক পণ্যের মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায়যোগ্য শুল্ক-করাদির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা। এ বিষয়ে কাস্টমস আইনে বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ডিং কার্যক্রম ও আমদানি-রফতানির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার এসএম হুমায়ুন কবির বলেন, বন্ডের পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি বন্ধে সর্বদা তৎপর আছি। এখন থেকে নিয়মমাফিক প্রিভেন্টিভ টিম পরিচালনা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বন্ডের পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করলে একদিকে যেমন রাজস্ব হারায়, তেমনি স্থানীয় শিল্পকে অসম প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়। তাই বন্ডের লিকেজ বন্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া হবে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/141069/