৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ১২:০৮

গণতন্ত্র ছাড়া টেকসই উন্নয়ন হয় না- ইইউ দূত

এক দশকে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। এই অগ্রগতি ধরে রাখা ও প্রবৃদ্ধি আরো গতিশীল করাই হবে নতুন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ। গণতন্ত্র ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না। তাই গণতন্ত্র জোরদারকরণ প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে ও সমর্থন দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গতকাল রাজধানীর সিক্স সিজন হোটেলে এক সেমিনারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত রেন্সজি তেরিংক এসব কথা বলেন। কসমস ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমপর্ক : ভবিষ্যতের জন্য

পূর্বাভাস’ শিরোনামের এই সেমিনারের আয়োজন করে। ঢাকাস্থ ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজি তেরিংক এতে কি নোট স্পিকার হিসেবে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, আমি কোনো নেতিবাচক চিত্র উপস্থাপন করতে চাই না।

তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতির সুফল দেশের সকল মানুষের মধ্যে সমবণ্টন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, উন্নয়নের সুফল সবার মধ্যে সমবণ্টন করা না হলে দারিদ্র শুধু আংশিক বিমোচন সম্ভব। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির সুফল সবার মধ্যে সমহারে বণ্টন করতে না পারলে দারিদ্র্য পুরোপুরি বিমোচন হবে না। রাষ্ট্রদূত ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসির অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসার বাংলাদেশের ভিশন ও পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের এটি হবে একটি সাফল্যের গল্প। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই চমৎকার এবং বিভিন্ন বিষয়ে উভয়পক্ষই একে অপরের মঙ্গল কামনা করে।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=157748