চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তের বিপরীতে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বাংলাদেশী নাগরিক ওমিদুলের লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ ঘটনার চার দিন পর গতকাল দুপুরে পতাকা বৈঠকের পর বিজিবির কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি জানায়, গত সোমবার সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে বাংলাদেশী নাগরিক ওমিদুলের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। পরে খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এদিকে বাংলাদেশী ওমিদুলের লাশ ফেরত চেয়ে ঘটনার দিনই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি-বিএসএফ। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ময়নাতদন্তের পরই লাশ হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পাড় হলেও নিহতের লাশ ফিরত দিতে নানা টালবাহানা করতে থাকে বিএসএফ। বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকেও দফায় দফায় বৈঠকসহ কড়া প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হয়। অবশেষে নিহতের চার দিন পর বৃহস্পতিবার নিহত বাংলাদেশী ওমিদুলের লাশ ফেরত দিতে সম্মত হয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিাচলক লে: কর্নেল ইমাম হাসান জানান, লাশ ফেরত দিতে সম্মত হলে বৃহস্পতিবার দুুপুরে লাশ হস্তান্তরের আগে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মতিয়ার রহমান, সাথে ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিজয়নগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুরেন্দ্র সিং ও কৃষ্ণনগর থানার ওসি তন কুমার। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বিএসএফ বিজিবির কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, বিএসএফের কাছ থেকে ওমিদুলের লাশ গ্রহণের পর দেশে ফিরে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
