৩১ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭:৫৪

রূপগঞ্জে বেড়াতে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ

রূপগঞ্জে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছে ৬ বখাটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এদিকে মামলা না করার জন্য ধর্ষণের মূল হোতা অব্যাহতভাবে ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। গত সোমবার উপজেলার হাটাব এলাকা থেকে অপহরণের পর পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁও উপজেলার পেরাবো এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয়। ধর্ষিতার পরিবারের বরাত দিয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম মিয়া জানান, রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের হাটাব এলাকায় অবস্থিত পারটেক্স সুগার মিলে চাকরি করতেন একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুসুরী গ্রামের ওয়াজউদ্দিনের ছেলে সুমন। প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়ার পথে প্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী কাদির মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর (১৩) সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠে।

সুমন নিজেকে অবিবাহিত এবং রাজধানীর বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীর সাথে গভীর সখ্য গড়ে তোলে। সোমবার রূপগঞ্জের পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁও উপজেলার পেরাবো এলাকায় অবস্থিত তাজমহলে বেড়ানোর কথা বলে ফুসলিয়ে শিক্ষার্থীকে নিয়ে যায় সুমন।

পরে পেরাবো গ্রামের একটি নির্জন বাড়িতে সে সহ তার আরো ৫ সহযোগী দিনভর ধর্ষণ করে সন্ধ্যায় সেখানে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন সোনারগাওঁ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। ওসি (তদন্ত) সেলিম মিয়া জানান, ধর্ষিতার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় এবং সে ঘটনাস্থল সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা দিতে না পারায় এখন অবধি মামলা নিতে পারেনি পুলিশ। সে সুস্থ্য হলে নিয়মিত মামলা রুজু হবে।

এদিকে ধর্ষিতার পিতা ও স্থানীয় কবিরাজ চিকিৎসক জানান, ঘটনার পরপরই সুমনের শ্যালক ও হাটাব গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে হিমেলকে পুলিশ আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এছাড়া সুমন ও তার সহযোগীরা মামলা না করার জন্য বাড়ি এসে প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দিচ্ছে।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=157245&cat=3