৩১ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৯

১৫ জেলায় শৈত্য প্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে

আবারো শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশের ১৫ জেলার মানুষ। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও বিষুবীয় ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সৃষ্ট লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ঠাণ্ডা বায়ুপ্রবাহ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে হতে গতকাল বুধবার বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ জেলায় বয়ে যেতে শুরু করেছে। ফলে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাজধানীর ঢাকার তাপমাত্রাও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হ্রাস পেয়েছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার ছিল ১৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যে ১৫ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সেগুলো হলোÑ টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা ও মৌলভীবাজার। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটাই হয়তো চলতি শীত মওসুমের সর্বশেষ শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহের বর্তমান অবস্থাটা কেটে গেলেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ঠাণ্ডা বায়ুপ্রবাহ কমে যেতে শুরু করবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের পর থেকে শুধু রাতেই কিছুটা শীত অনুভূত হতে পারে। দিনে সূর্যের উত্তাপ কিছুটা প্রখর থাকবে। ফলে দিবাভাগে সুয়েটার-জ্যাকেটের প্রয়োজন হবে না। আবহাওয়া অফিস আরো জানিয়েছে, আগামী রোববারের পর থেকে পরিবেশ উষ্ণ হতে শুরু করতে পারে।

১৫ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ থাকা সত্ত্বেও আজ বৃহস্পতিবার দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে রাতের তুলনায়। গত রাতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া অফিস। আরো দুই দিন পরিবেশ উষ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ ছাড়া আজ সারা দিনই আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। একই সাথে শুষ্ক থাকবে পরিবেশ। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/384673