৩১ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:০২

ধনীদের পোয়াবারো

সম্পদের প্রতি লোভ বা লিপ্সা মানুষের সহজাত। এই লিপ্সা বর্তমানে মানুষের মধ্যে অনেক বেড়েছে। এই সময়ে যে গতিতে ধনী মানুষের সম্পদ বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে পৃথিবীর প্রায় সব সম্পদ তাদের দখলে চলে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে, এর ফলে যে ব্যাপক বঞ্চনার সৃষ্টি হচ্ছে, তার সবচেয়ে বড় শিকার একেবারে দরিদ্র মানুষ। তারা হতে চলেছে সর্বস্বান্ত ও নিঃস্ব। ধনী যত ‘বড়’ তার সম্পদ বাড়ার গতিও তত বেশি। সম্পদের বৈষম্য নিয়ে কাজ করে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবেদনে এর ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। সম্পদ গিলে ‘মোটাতাজা’ হওয়ার প্রতিযোগিতায় আমাদের বাংলাদেশীরা পর্যন্ত আলোচনায় উঠে এসেছে। অতি ধনী বেড়ে যাওয়ার হারে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে! সাধারণ ধনী বৃদ্ধির তালিকায়ও বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান ‘অর্জন’ করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে অতি ধনী ও ধনী দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে, বাস্তবে এমনটি দেখা যাচ্ছে না।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষ রয়েছে, এমন ১০টি দেশের তালিকা প্রণয়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমানুযায়ী পাঁচ নম্বরে। দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি হতদরিদ্রের বাস প্রতিবেশী ভারতে। এ ছাড়া বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষের আবাসস্থল আফ্রিকার নাইজেরিয়া, কঙ্গো ও ইথিওপিয়া।

যাদের দৈনিক আয় এক ডলার ৯০ সেন্টের কম, তাদের ‘হতদরিদ্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই হিসাবে দুই কোটি ৪১ লাখ বাংলাদেশী নাগরিক দৈনিক এর চেয়ে কম আয় করেন। বাংলাদেশে গরিব মানুষ কত তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আমরা ‘নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে’র তালিকায় স্থান করে নিয়েছি। এ তালিকার দেশগুলোতে মানুষকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠতে হলে দৈনিক তিন ডলারের বেশি আয় করতে হবে। সেই হিসাবে এ দেশে দরিদ্রের সংখ্যা আট কোটি ৬২ লাখ।

এর অর্থ, দেশের প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি জনসংখ্যা দরিদ্র। বাংলাদেশে প্রায় সব খাতে দুর্নীতি সর্বব্যাপী। হিসাবপত্রও দুর্নীতির বাইরে নেই। ফলে সরকারের দেয়া হিসাব-নিকাশ কতটুকু ঠিক, তা বলা মুশকিল। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বিবেচনায় আসলে বাংলাদেশ বিশ্বের কততম অবস্থানে আছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ভারতে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১৭ কোটি ৫৭ লাখ। দারিদ্র্য বিবেচনায় আমরা ভারতের ঠিক পরের অবস্থানে রয়েছি কি না, সেই সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের শাসকেরা সবচেয়ে প্রাধান্য দিচ্ছেন উন্নয়নের ওপর। আগে দেশ শাসনের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র প্রাধান্য পেয়েছিল। এই শাসকদের সুবিধা হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে ‘উন্নয়ন’ অব্যাহত রাখতে হবে। আবার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বড় প্রকল্প অগ্রাধিকার পাচ্ছে। শত ও হাজার কোটি টাকার নিচে এখন আর বাজেট নেই। এ সময়ে খবর হচ্ছেÑ অতি ধনী বাড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এক নাম্বারে।

এ প্রতিযোগিতায় এক দশকে আমরা পেছনে ফেলেছি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানের মতো উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশকে। এমনকি প্রায় আমাদের মতো দরিদ্র, ভারতও বাংলাদেশের পেছনে পড়েছে। ৭৫টি বড় অর্থনীতির দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এক নম্বর হওয়ার খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েলথ-এক্স’।

‘অতি ধনী’ বলতে প্রতিষ্ঠানটি তিন কোটি ডলারের বেশি সম্পত্তির মালিককে বুঝিয়েছে। টাকার অঙ্কে তা ২৫০ কোটি টাকার বেশি হবে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত, আগের পাঁচ বছরে বাংলাদেশে অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশ হারে।

ওয়েলথ-এক্স সাম্প্রতিক আরেক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, ধনী বেড়ে যাওয়ার হারে বাংলাদেশ তৃতীয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের থেকে এগিয়ে আফ্রিকার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ নাইজেরিয়া ও মিসর। আমরা পেছনে ফেলেছি চীনকেও। ভারত আরো পেছনে। ‘ধনী’ বলতে প্রতিষ্ঠানটি ১০-৩০ লাখ মার্কিন ডলারের সম্পত্তির মালিককে বুঝিয়েছে। বাংলাদেশী টাকায় এ স¤পদের মূল্য সাড়ে আট থেকে ২৫ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ার সাথে ধনী বৃদ্ধির একটা সংযোগ রয়েছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এটিকে ‘মন্দ’ বলার উপায় নেই।

‘অতি ধনী’ বাড়ার গতিতে বাংলাদেশ এক নম্বরে চলে আসার পাশাপাশি ধনী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তিন নম্বর অবস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা অর্থনীতিবিদেরা তাদের নানা সূচকে বিচার-বিশ্লেষণ করে বলতে পারবেন। আমাদের মতো আমজনতার সেই জ্ঞান নেই। সাধারণভাবে দেশে কৃষি শিল্প ও ব্যবসাবাণিজ্যে দ্রুত প্রসার হয়েছে, তা বলা যায় না। অর্থনীতি যদি ধনী বাড়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেগবান হতো, তাহলে এখনো দেশে সাড়ে আট কোটি গরিব থাকার কথা নয় মোটেও।

সরকার দাবি করছে, সামগ্রিক অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ প্রবৃদ্ধি যদি বৈষম্যহীনভাবে বাড়ত; তাহলে সবার না হোক, অনেকের ভাগ্যের চাকা এত দিনে অনেকটাই খুলে যাওয়ার কথা। মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কথা। আর গরিবের সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ার কথা। এটাও অস্বাভাবিক নয় যে, ধনীদের ধন আরো বাড়বে এর মাধ্যমে। বাস্তবে বাংলাদেশে বৈষম্যহীন উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে, এমন বলার কি কোনো অবকাশ আছে? বিষয়টি নিয়ে পক্ষপাতমুক্ত গবেষণা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। জানার এই সীমাবদ্ধতা কবুল করে নিতে কোনো লজ্জা থাকার কথা নয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যুরোর (বিবিএস) জরিপে আয়বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। একই সময়ে, বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে ব্যাংক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সরকার অতিকায় সব প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। ঘুষ-দুর্নীতির অসংখ্য ঘটনার কথা জানা যাচ্ছে।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আমদানি-রফতানির আড়ালে এ টাকা পাচার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পরের তিন বছরে পাচার হওয়া টাকার অঙ্ক আরো বাড়ার কথা।

অবৈধ উপায়ে অর্থের যে দেদার ছড়াছড়ি, তার লক্ষণ বিবিএসের জরিপেও প্রতিফলিত হয়েছে। অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারের স¤পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণত এমন কোনো জরিপ করে না বা করলেও প্রকাশ করে না যার ফল সরকারের জন্য সুখকর নয়। তারপরও ফাঁক-ফোকর গলে অনেক কিছুই বেরিয়ে পড়ছে।

বিবিএসের খানা জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে দেশে সবচেয়ে বেশি ধনী ৫ শতাংশ পরিবারের আয় প্রায় ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে অতি গরিব ৫ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে ৫৯ শতাংশ। ধনী ও গরিবের মধ্যে সম্পদ বৈষম্য বাড়ার প্রবণতা দুনিয়াব্যাপী চলছে। তবে যে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ধনীরা এগিয়ে সবচেয়ে বেশি, তা অর্থপাচার।

সম্পদ গিলছেন ধনীরা
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ‘অক্সফাম’ ধনী-গরিবের বৈষম্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন সামনে রেখে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ধনী-গরিবের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য বাড়ার গতি অত্যন্ত দ্রুত হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বে সব সম্পদ একসময় কুক্ষিগত হতে পারে মাত্র গুটিকয় মানুষের হাতে।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশী মুদ্রায় এ সম্পদের পরিমাণ ৯ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বাংলাদেশের সর্বশেষ বাজেটের আকার ছিল চার লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বেজোসের সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশের দুই বছরের বাজেট সম্ভব। দেখা যাচ্ছে, ১৮ কোটি মানুষের বাজেটের প্রায় দুই গুণ একজন মাত্র মানুষের সম্পদের পরিমাণ। বেজোসের সম্পদের মাত্র ১ শতাংশ দিয়ে ইথিওপিয়ার মানুষের পুরো বছরের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া সম্ভব। আফ্রিকান দেশটির জনসংখ্যা ১০ কোটি ৫০ লাখ।
জেফ বেজোস, বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট ও মার্ক জাকারবার্গÑ বিশ্বের এই চারজন শীর্ষ ধনীর সম্পদের পরিমাণ ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে তা দাঁড়াবে ২৮ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তাদের সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশের ছয় বছরের বাজেট সম্পন্ন হয়েও অরো বেঁচে যাবে।

ব্যবসাবাণিজ্য নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের পাক্ষিক ম্যাগাজিন ফোর্বস এ তথ্য দিয়েছে। অক্সফামের হিসাবে এসব ধনী যদি মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ বেশি কর দেন; তাহলেও বিশ্বের ২৬ কোটি ২০ লাখ শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব।

অক্সফামের প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, বিশ্বের মাত্র ২৬ ব্যক্তির কাছে ৩৮০ কোটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সমান সম্পদ রয়েছে। ২০১৭ সালে ওই সংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সম্পদ ৪৩ ধনকুবেরের কাছে ছিল। তার আগের বছর এসব ধনকুবেরের সংখ্যা ছিল ৬১। অর্থাৎ শীর্ষ ধনীদের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হওয়ার হার দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে। এর বিপরীতে কমছে দরিদ্রদের সম্পদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৮০ কোটি গরিবের সম্পদ গত বছর ১১ শতাংশ কমেছে। এর বিপরীতে বিশ্বের দুই হাজার ২০০ জন ধনবানের সম্পদ মোট বেড়েছে ৯০ হাজার কোটি ডলার। প্রতিদিন গড়ে এসব ধনীর সম্পদ বেড়েছে আড়াই শ’ কোটি ডলার। অতি ধনী বাড়ার হারে বাংলাদেশ সবাইকে পেছনে ফেলে দিলেও এই শীর্ষ ধনীদের তালিকায় এখনো কোনো বাংলাদেশী অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। সম্ভবত খুব বেশি দিন লাগবে না, এ তালিকায় একে একে বাংলাদেশীরা অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। তখন বেজোস, বাফেট এবং জাকারবার্গের সাথে বাংলাদেশীরাও এক কাতারে এসে যাবেন।

স্রষ্টা বৈষম্য মোচনের নির্দেশ দিয়েছেন
মানুষের মহান স্রষ্টা নিশ্চয়ই কোনো বৈষম্য করেননি। সম্পদ যাতে কেবল ধনীদের মধ্যে আবর্তিত না হয়, সে জন্য কতগুলো খাত তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন উদ্বৃত্ত সম্পদের মালিকদের। এ খাতগুলোর কথা সব আসমানী কিতাবে লেখা আছে। প্রথমেই বলা হয়েছে, নিকটাত্মীয়কে দান করতে। নির্দেশ দেয়া হয়েছে এতিমদের দিতে। শুধু এ দু’টি খাতে ধনীরা দান করলেও আর অভাবী মানুষ পাওয়া যেত না। দেয়ার নির্দেশটি আরো বিস্তৃত করে বলা হয়েছেÑ দরিদ্র, নিঃস্ব পথচারী এবং ঋণের দায়ে আটকে পড়া মানুষকে দেয়ার কথা। আর বলা হয়েছে, যারা চাইতে আসে, তাদের দিতে। আরো বলা হয়েছে, যারা চাইতে আসবে না অথচ তাদের দেখে বোঝা যায় যে, তারা বিপদগ্রস্ত; তাদেরও দিতে।

বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত একটি রাষ্ট্র। এ দেশের মানুষ পবিত্র কুরআনের প্রতি সাধারণত অগাধ বিশ্বাস থাকার কথা বলেন। এই বিশ্বাস কাজে প্রমাণিত হলে এ দেশে সাড়ে আট কোটিরও বেশি মানুষ আজো গরিব থাকার কথা নয়।

পবিত্র কুরআনে উল্লিখিত এসব লোককে যদি একজন ধনী দান করেন; তাহলে সমাজে একজন দরিদ্রও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্যাপারটি এ কিতাবে আরো নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যারা বিশ্বাসী তারা এটি অনুভব করবেন, যারা চাইতে আসেন আর যারা বঞ্চিতÑ তাদের সম্পদে তাদের অধিকার রয়েছে। ধনীদের তালিকায় যারা সারা বিশ্বে অগ্রগামী, তাদের প্রায় সবাই কোনো-না-কোনো আসমানী কিতাবের ধর্মের অনুসারী। তারা যদি আল্লাহর নির্দেশ সামান্য পরিমাণেও বাস্তবায়ন করেন; তাহলে দুনিয়া থেকে দরিদ্র বিদায় নেবে। জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে এ ব্যাপারে যে বিশাল কর্মপরিকল্পনা রয়েছে, এর তখন আর দরকার পড়বে না। আর জাতিসঙ্ঘ যে প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে তাতে হয়তো শত বছর পরে দারিদ্র্য নির্মূল হতে পারে; কিন্তু বৈষম্য নিশ্চিত বাড়বে। হ

jjshim146@yahoo.com

http://www.dailynayadiganta.com/post-editorial/384546