১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৩২

৪ দিন আটকে রেখে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সাভারে চার দিন আটকে রেখে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরী (১২)কে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সাভার পৌরসভার নামা গেন্ডা এলাকা থেকে গত সোমবার রাতে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা হেলাল উদ্দিন পেশায় একজন রিকশাচালক। তিনি জানান, তিন মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যার পর বাসার সামনের দোকানে চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে সাভার থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ হেলাল উদ্দিনের।

বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাদের নজরে আসে প্রতিবেশী মজিবরের বখাটে ছেলে বিল্লাল হোসেনও নিখোঁজ। সন্দেহ থেকে স্থানীয়রা তাদের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করলে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে বাসার সামনে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই কিশোরী জানান, ওই দিন রাতে বিল্লাল হোসেন কথা আছে বলে ওই কিশোরীকে দোকানের সামনে থেকে একটু আড়ালে ডেকে নেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে অপেক্ষমাণ একটি মাইক্রোবাসে তাকে জোরপূর্বক তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। স্থানটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে না পারলেও সেখানে পৌঁছতে প্রায় ৪ ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিল বলেও জানান ওই কিশোরী।

তিনি বলেন, সেখানে নেয়ার পর একটি বাড়িতে আটকে রেখে বিল্লালসহ অপর একজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ধর্ষিতা কিশোরীর মা রুবিয়া খাতুন জানান, এ ঘটনার পর থানায় গেলেও তাদের অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি। এ সুযোগে এলাকার প্রভাবশালীরা বিষয়টি আপস মীমাংসার জন্যে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যোগাযোগ করা হলে সাভার মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক দুলাল রায় জানান, আমি সরজমিন তদন্ত করেছি। ওসি সাহেব থানায় না থাকায় পরে তাদের আসতে বলেছি।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=154610&cat=6/