১৩ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ১:১১

এমপির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

সংসদ সদস্য দিদারুল আলম দিদারের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিক নেতাকে মারধর এবং চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। আগামী ১৪ই জানুয়ারি সোমবার ভোর ৬টা থেকে ১৬ই জানুয়ারি বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালন করা হবে বলে শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তবে সংসদ সদস্য দিদারুল আলম দিদার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, বৃহসপতিবার রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের এমপি দিদারুল আলম দিদার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সমপাদক অলি আহমদ ও নগরীর অলংকার মোড় থেকে সীতাকুণ্ড রুটে চলাচলকারী ৮ নং রুটের মালিক সমিতির নেতাদের বাসায় ডাকেন।

তিনি অলঙ্কার মোড় থেকে সীতাকুণ্ড রুটে গাড়ি চলাচলের নিয়ন্ত্রণ তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ট্রেড ইউনিয়নের আইন ও শ্রমিকদের অর্পিত দায়িত্ব শ্রমিকের মতামত ছাড়া ছেড়ে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানালে তিনি তাকে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করেন।

তাতেও সম্মত না হওয়ায় এমপি দিদার এক পর্যায়ে ৮ নং রুটে মালিক সমিতির যুগ্ম সমপাদক খোরশেদ আলমকে নিজ হাতে মারধর শুরু করেন। এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে এমপি দিদারুল আলম উত্তেজিত হয়ে শ্রমিক নেতা অলি আহমদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাকেও মারধর করেন। প্রয়োজনে রিভলবার দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যেতে বলেন।

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে সংগঠনের এক জরুরি সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সোমবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ৪৮ ঘণ্টা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা। মোহাম্মদ মুছা বলেন, এমপি দিদারের বিরুদ্ধে চাঁদার জন্য চাপ সৃষ্টি ও মারধরের অভিযোগে সভায় ধর্মঘটের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সংসদ সদস্য দিদারুল আলম দিদার মানবজমিনকে বলেন, শ্রমিক ফেডারেশনের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং শ্রমিক নেতা খোরশেদ আলমই ৮ নং রুটের পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে সে বোমা বানায়। সে বিএনপি-জামায়াতের লোক। বিএনপির উপর মহলের নির্দেশে সে গাড়ির ওপর বোমা মারে।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=154328&cat=3