১০ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৬

বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন

প্রথম দিনই নেই দর্শনার্থীদের ভিড়

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার প্রথমদিনে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। গতকাল বিকালে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ মেলা উদ্বোধন করেন। বিকাল পাঁচটার দিকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মেলা। বিকাল পাঁচটার পর মেলা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ প্যাভিলিয়ন এখনো প্রস্তুত হয়নি। শুধু মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি স্টল তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে। বিশেষ করে কাপড়, ফার্নিচার, প্লাস্টিক সামগ্রীর স্টলগুলো তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে। অন্যগুলো তাদের প্রস্তুতি সারতে কাজ করছে পুরোদমে। বাংলাদেশ কারা পণ্য স্টলটি সাজানোর জন্য কাজ চলছে। সেখানে কথা হয় কারা-উপপরিদর্শক বজলুল রশীদের সঙ্গে, তিনি বলেন দুই একদিনের মধ্যেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

প্রায় ৬৫টি জেলা থেকে আমাদের সকল পণ্য সামগ্রী ইতিমধ্যে চলে এসেছে। আমাদের এখানে কয়েদিদের দিয়ে তৈরি টেক্সটাইল পণ্য, বেতের তৈরি আসবাবপত্র তোলা হবে। অন্যদিকে আরো একটি স্টল জয়িতা ফাউন্ডেশন তারাও কাজ করে চলছে স্টল সাজানোর জন্য। নারীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী এবং নারী ব্যবসায়ীরা মূলত জয়িতা ফাউন্ডেশনের অধীনে স্টল পান। কথা হয় এমন একজন ব্যবসায়ী সালেহা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের স্টলগুলোর কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে।

কাল (আজ) থেকেই ক্রেতাদের কাছে পণ্য তুলে দিতে পারবো। এমন প্রতিটি স্টলেরই কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। স্টল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী দুই একদিনের মধ্যেই পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে ক্রেতাদের জন্য। সাধারণত বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে মেলার কার্যক্রম শুরু হলেও এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মেলা নির্দিষ্ট তারিখের আটদিন পর শুরু হয়। চলবে ৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়ন রয়েছে ১১০টি। মোট মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৮৩টি ও স্টল রয়েছে ৪১২টি। মেলার মাঠের আয়তন ৩১ দশমিক ৫৩ একর।

মেলায় প্রবেশে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা। মেলায় আসা বিভিন্ন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রথম দিনে কোনো কেনাকাটা করতে আসেননি। মেলার অবস্থা দেখতে এসেছেন। সায়েদাবাদ থেকে মেলা দেখতে সপরিবারে এসেছেন ইকবাল বাহাদুর। তিনি বলেন, আজকে এখানে বেড়াতে এসেছি। আজ কিছু কিনবো না।

ভেবেছিলাম মেলায় এসে কিছু না কিনলেও খাওয়া দাওয়া করবো পরিবারের সবাই মিলে কিন্তু এখানে তো খাওয়ার দোকানগুলো প্রস্তুত হয়নি। তাই কিছু খেতেও পারছি না। আরেক দর্শনার্থী মিলি আক্তার জানান, তিনি কিছু কিনতে এলেও প্রায় স্টল প্রস্তুতি না থাকার কারণে তিনি কিছুই কিনতে পারেননি। তবে তিনি ঘুরে খুব আনন্দ পাচ্ছেন। এবারের মেলায় ২২টি দেশ থেকে ৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

মেলায় রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন। নিরাপত্তার জন্য লাগানো হয়েছে ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজরে রাখবেন দায়িত্বরতরা। সাদা পোশাকেও থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মেলায় প্রবেশ করেই ডিজিটাল ম্যাপের মাধম্যে স্টল শনাক্ত করা যাবে অতিসহজে। পুরো প্রক্রিয়াটি দেখাশোনা করছে ভেলিকন ডিজিটাল।

প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইমরান জানান, দর্শনার্থীরা আমাদের এখানে এসে স্টলের নাম্বার বা নাম বললেই আমরা সহজে তাদেরকে দেখিয়ে দিতে পারবো। এখানে সার্বক্ষণিক কয়েকজন থাকবেন দর্শনার্থীদের সেবা দেয়ার জন্য।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=153880&cat=10