৫ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ১১:২৬

অথঃ কিমাশ্চর্যম ভুতাবদানম

ইসমাঈল হোসেন দিনাজী : একটি টিভি চ্যানেলের সংবাদপাঠক বা উপস্থাপক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করলেন, “ভোটের ‘ভুত’গুলো এখন প্রস্তুত।”

প্রথমে আমি একটু ভড়কেই গিয়েছিলাম। ব্যাপারটা কী! ভোটের ‘ভুত’! এর মানে কী দাঁড়ায়? ভোটের সঙ্গে ভুতের সম্পর্কইবা কী? ভুতেরা কেন আসবে ভোটকেন্দ্রে বা ওদের কাজইবা কী ধরণের! আর ভুত বলে বাস্তবে কি কোনওকিছুর অস্তিত্ব আছে? আমি তা বিশ্বাস করি না।

হ্যাঁ, জিন নামে একটি সম্প্রদায় আছে। এদের কথা আল্লাহ তায়ালা কুরআনেই ঘোষণা করেছেন। তাই জিনদের অস্তিত্ব আমাদের স্বীকার করতেই হবে। এটা মুসলিমদের ঈমানের অংশও বৈকি। জিনেরা মানুষকে দেখে। কিন্তু মানুষ ওদের দেখে না। মানুষের আরেক নাম যেমন মানব; জিনেরও অন্য নাম দানব। এই জিন বা দানব মানুষকে নাকি বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারে। কোনও দানবের দল ভোটের আগের রাতে তেমন অলৌকিক কিছু ঘটিয়ে বসেনিতো?

সিলেট থেকে ‘জাগো নিউজ’ এমনই ‘দানবীয়’ একটি খবর দিয়েছে। সেটি হচ্ছে: সিলেট-৫ আসনের মোট ভোটার ৩,২৪,৪১২। নৌকা প্রতীকের হাফিজ আহমদ পেয়েছেন ১,৮৭,১৯১ এবং ধানের শীষ প্রতীকের ওবায়েদুল্লাহ ফারুক পেয়েছেন ১,৩৮,৯৬০ ভোট। এ দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা দাঁড়ালো ৩,২৬,১৫১। যোগ-বিয়োগ করে দুই জনের অতিরিক্ত মানে ‘ভৌতিক’ ভোটসংখ্যা ১,৭৩৯। এ দুইজন ছাড়া জাপার সেলিমউদ্দিনসহ আরও ৬ প্রার্থী ছিলেন। তাঁরাও লাখের কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন বলে প্রকাশ। থলের বেড়াল বেরিয়ে পড়বে বলে তাদের ভোট আর কাউন্টই করা হয়নি। অর্থাৎ মোট ভোটার সোয়া ৩ লাখ। আর কাস্ট হয়েছে প্রায় ৪ লাখ। এর মধ্যে যারা মারা গেছেন এবং বিদেশে আছেন তারাও ভোট দেবার সুযোগ পেয়েছেন। কিমাশ্চর্যম ‘ভুতাবদানম’! নির্বাচন কমিশনের কাছে সন্তোষজনক কোনও জবাব আছে এর?

বেচারা ভুতেদের তো হিসেব কোষবার অভ্যাস নেই। তাই মেলাতে পারেনি। তবে ২৯৮ আসনের কাস্ট হওয়া এবং টোটাল ভোটসংখ্যা মেলালে আরও অনেক ‘ভুতাবদানম’ বেরোতে পারে নিশ্চয়ই।

যা হোক, ভোটের আগের রাত। পেশাগত কারণে টেনশন কমবেশ প্রায়শই থাকে। কী লেখবো তা নিয়ে ভাবতে হয়। এ ক’দিন একদমই ফুরসত ছিল না।

হ্যাঁ, ভোটের ‘ভুত’! মাথা থেকে কোনওমতেই নামাতে পারছিলাম না। খবরপাঠকের ‘ভুত’টা যেন সত্যি সত্যিই আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল।

সকাল ১০ টার দিক ভোটকেন্দ্রে গেলাম। ভোটার উপস্থিতি অবিশ্বাস্যভাবে কম। নির্বিঘেœ চমৎকারভাবে ভোট দিলাম। চার-পাঁচটা বুথের মধ্যে একটাতে জনাদশেক ভোটারের লাইন। কয়েক মিনিটের মধ্যে ভোট দেয়া সম্পন্ন করলাম। দেখলাম ভোটকেন্দ্রের সবগুলো বুথই প্রায় খালি। ভোটারশূন্য। খোঁজ নিয়ে জানলাম কোনও কোনও বুথে একটা ভোটও কাস্ট হয়নি। অথচ তখন প্রায় বেলা ১১টা বাজতে যাচ্ছে। একই সেন্টারের মহিলা বুথ প্রায় সারাদিনই খালি ছিল। আমার গিন্নি এবং ছেলেরা দুপুরের পর ভোট দিতে যায়। ওরা সবাই একই রকম রিপোর্ট করলো। ভোটকেন্দ্রে ভোটার নেই। একদমই খালি। ভোট নেবার জন্য লোকজন আছেন। কোনও বুথে পোলিং এজেন্ট আছেন। কোনওটায় নেইও। থাকলেও একতরফা। বিশেষ মার্কার। থাকবে কেন? দরকারতো নেই।

টিভি চ্যানেলের খবর উপস্থাপক ভোটের ‘বুথ’কে কেন ‘ভুত’ উচ্চারণ করেছিলেন এর তাৎপর্য ভোটের আগের রাতে বুঝতে না পারলেও ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্রের পরিবেশ এবং বুথের অবস্থা দেখে তা আমার কাছে স্পষ্ট হয় অনেকটাই। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত এক স্নেহভাজন ভার্সিটি শিক্ষকের মাধ্যমে প্রখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের ওয়েব সাইট ‘বাংলাদেশ পোলিটিকো’তে আংশিক ঢুকতে পেরে ‘ভুতরহস্য’ আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে এ সাইটটি বাংলাদেশ থেকে ব্লক করে রাখা হয়েছে। এতে একপক্ষের ‘নিরঙ্কুশ বিজয়’ এবং অন্যপক্ষের কীভাবে ‘ভরাডুবি’ হয়েছে তার প্রিপ্ল্যানের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া আছে। আবার বিবিসির টিভিতেও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে’ এমনটা কোনওভাবেই বলা যায় না।

বিদেশি গণমাধ্যমে আরও অনেক কিছু বেরিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পশ্চিমা গণমাধ্যম নির্বাচনকে ভুলভাবে তুলে ধরেছে।’— দৈনিক ইত্তেফাক: ১ জানুয়ারি, ২০১৯।

বাদ দিলাম বিদেশি গণমাধ্যমের কথা। রাখ-ঢাক সত্ত্বেও দেশি গণমাধ্যমেও কি কম এসেছে ‘নিরঙ্কুশ বিজয়’ নিয়ে? নির্বাচনের পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর নয়াদিগন্তের অনলাইন সংস্করণের একটি রিপোর্ট ছিল এ রকম: “ভোট হয়ে গেছে, আপনারা বাড়ি ফিরে যান’। এটা ছিল নিউজের শিরোনাম। পত্রিকাটির লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, ‘লোহাগাড়ার ৯ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ শতাংশ কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট ঢুকতে দেয়া হয়নি। কেন্দ্রে আসতে দেয়া হয়নি ভোটারদেরও। সকাল সাড়ে ৭টায় কেন্দ্রের সামনে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও লাঠি হাতে ভোটারদের তাড়া করার ঘটনা ঘটেছে। এসব কাজে নৌকার সমর্থকদের সাথে পুলিশকেও ভূমিকা রাখতে দেখা যায়। লোহাগাড়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসা কেন্দ্রের আয়েশা খানম নামে ধানের শীষের এক এজেন্ট বলেন, সকাল ৮টার দিকে ভোটকেন্দ্রে গেলে নৌকার সমর্থকরা আমাদের ঢুকতে বাধা দেয়। বলে, ভোট রাতে হয়ে গেছে। আপনারা বাড়ি ফিরে যান।

এমন বাধার মুখেও কিছু ভোটার লাইনে যেতে চাইলে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। চুনতি ইউনিয়নের নারিশ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকার সমর্থকদের হামলায় তাওহিদুল ইসলাম ও মকছুদুর রহমান নামে দু’জন ধানের শীষের এজেন্ট আহত হয়েছেন। চুনতি, আমিরাবাদ, চরম্বা, কলাউজানসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রায় একই ধরনের চিত্র। চরম্বা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারকে দরজা বন্ধ করে ভেতরে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলেও তিনি দরজা খোলেননি।

অন্য দিকে আধুনগর হাতিয়ারপুল এলাকার ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক জাফর আলমকে পিটিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। জানা গেছে, ভোটের আগের রাতে কয়েকজন নৌকার সমর্থক কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ব্যালটপেপার দেয়ার জন্য প্রচ- চাপ দেয় প্রিজাইডিং অফিসারকে। এ ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার অনমনীয় থাকলে তারা ফিরে যায়। সকালে ভোট শুরুর প্রাক্কালে আবার এসে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বেদম মারধর করে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে তারা নির্বিঘেœ কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মারে।

এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী এবং বিজিবি কর্মকর্তাদের সহযেগিতা চেয়েও কোনও সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর চিফ এজেন্ট জাফর সাদেক। কোনও কোনও কেন্দ্রে পুলিশ নৌকার সমর্থকদের চেয়েও বাড়াবাড়ি করেছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।

চুনতি ও পদুয়ার দু-একটি কেন্দ্রে সকালে কয়েক ঘণ্টা সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চললে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বেশ দুশ্চিন্তায় ভুগতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরপর মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত জনকে ‘এখানকার অবস্থা খারাপ, ভোটার বেশি, কাস্ট হচ্ছে বেশি’ এমন কথা বলতে দেখা যায়। পরক্ষণেই পুলিশ ও বিজিবির কয়েকটি গাড়ি এসে ফাঁকা গুলি চালিয়ে লাইন থেকে ভোটাদের সরিয়ে দেয়। পরে নৌকার কয়েকজন সমর্থক এসে কেন্দ্রে প্রবেশ করে একধারসে নৌকায় সিল মারতে থাকে। পদুয়া নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চুনতি হাফেজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা দেখা গেছে।

উত্তর আমিরাবাদ এম বি উচ্চবিদ্যালয়ে নৌকার সমর্থকরা ধানের শীষের কয়েকজন এজেন্টকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।

রাতে যেভাবে নৌকায় সিল মারা হয়: ভোটের আগের রাত ৮টার দিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাংবাদিকদের কাছে ফোন আসতে থাকে। বলা হয়, স্থানীয় নৌকার সমর্থক ৫০-৬০ জন কেন্দ্রের ভেতরে কী যেন করছে। বাইরে থেকে সাধারণ লোকজন কেন্দ্রের দিকে আসার চেষ্টা করলে ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। কোনও কোনও কেন্দ্রে ধানের শীষের সমর্থকরা কেন্দ্র পাহারা দেয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি ও পুলিশ এসে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ছাড়া ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েও আতঙ্ক সৃষ্টি করে কেন্দ্র জনশূন্য করে ভেতরে সিল মারার কাজ চলে। এ সময় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পুলিশ ইউপি সদস্যসহ ধানের শীষের কয়েকজন সমর্থককে গ্রেফতার করে। লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একদিকে গ্রেফতার আতঙ্ক, অন্য দিকে ফাঁকা গুলি, একদিকে সশস্ত্র নৌকার সমর্থকদের মহড়া, অন্য দিকে পুলিশের একশন। এসবের মাঝেই ৮০ শতাংশ কেন্দ্র রাতের আঁধারে দখল করা হয়।”

এই ছিল চট্টগ্রামের এক উপজেলার ভোটচিত্র। এমন অবস্থা ভোটের দিন কম-বেশ প্রায় সারা দেশের। একই চিত্র ঢাকা মহানগরীতেও ছিল। আমি যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি সেখানেও।

ভয়েস অব আমেরিকাকে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আগের রাতেই ভোট কাস্ট হয়ে গেছে।’— দৈনিক সংগ্রাম : ১ জানুয়ারি, ২০১৯।

ভোটের ফলাফল সম্পর্কে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সত্য ও ন্যায়ের মৃত্যু হয়েছে।’ —প্রাগুক্ত।

নির্বাচনের অবিশ্বাস্য ফলাফলের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে টিআইবি বলেছে, ‘ভোটের ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ।’— প্রাগুক্ত।

তবে সিইসি কে এম নূরুল হুদা ৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট হবার দাবি করে বলেন, ‘আমরা তৃপ্ত। সন্তুষ্ট। লজ্জিত নই।’— প্রাগুক্ত।

নিশ্চয়ই। সিইসি’র তৃপ্ত ও সন্তুষ্ট হওয়া ছাড়া কি কোনও উপায় আছে? আর তিনি লজ্জিতইবা হবেন কোন দুঃখে? কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন তো গাইতেই হবে। তাই সিইসি-কে ধন্যবাদই দেবো।

আর হ্যাঁ, ড. কামাল হোসেন ফজরের সালাত আদায় করেই ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন ভোটারদের। কিন্তু ভোটের ভুতেরা যে তাহাজ্জুদ পড়বার আগেই বাক্স ভরে ফেলবার অবদান রাখবে সেটা কামাল সাহেবরা অনুধাবন করতে পারেননি। এটা আমার কথা নয়। বলেছেন, লন্ডনপ্রবাসী বন্ধু ফারুক হাসান।

উল্লেখ্য, দেশের যে ৬টি আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া হয় সেগুলোতে ভোট কাস্ট হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৬ শতাংশ মাত্র। আর ব্যালটপেপারে সিল মারা দেশের অন্যসব কেন্দ্রে ভোট কাস্ট হয়েছে প্রায় ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ। তবে এতোসব ভোটের সিংহভাগ কি ঐ ‘ভুতেরাই’ বাক্সে ভরেছে? বোঝা গেছে ভৌতিক ব্যাপার-স্যাপার? তার মানে রসিক সংবাদপাঠক ইংরেজি ভোটের ‘বুথ’ শব্দকে ‘ভুত’ ভুল করে বলেননি বা উচ্চারণ করেননি। এই ভোটের ‘জীবন্ত ভুত’-ই রাতের অন্ধকারে বাক্স ভরাট করেছে। এছাড়া সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা অবধি ভোটগ্রহণের নির্দেশ থাকলেও দুপুরে খাবারের বিরতি দেয়া হয় অনেক কেন্দ্রেই বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অবৈধ বিরতির সময়ও ভোটের ভুতেরা বাক্স ভরবার পবিত্র দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে বলে প্রকাশ। এই ছিল ‘ভুতরহস্য’। তবে এমন অভুতপূর্ব নিরঙ্কুশ বিজয়ে আওয়ামী লীগও হতচকিত হয়েছে বলে কোনও কোনও পত্রিকা রিপোর্ট করেছে। হ্যাঁ, তাতো হবার কথাই।

বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পোলিং এজেন্টদের অনুপস্থিতি সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘তাঁদের পোলিং এজেন্ট না থাকলে আমাদের কিছু করবার নেই।’ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনিও বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের কোনও পোলিং এজেন্ট দেখতে পাননি বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান।

যাই হোক, ইংরেজি নববর্ষের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীসহ বিজয়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছেন বিশ্বনেতারা। আমরাও স্বাগত জানাই বিজয়ী সবাইকে। তবে এ নিরঙ্কুশ বিজয়ের অবিস্মরণীয় ‘ভুতাবদানম’ ভাবাচ্ছে অনেককে। ভাবাবেও বহুদিন বলে মনে হয়।

http://www.dailysangram.com/post/359742