৩ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৩:২০

দেশপ্রেমের চশমা

এই নির্বাচন কি সুষ্ঠু হয়েছে?

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হলেও সুষ্ঠু হয়নি।

এ নির্বাচনের অভূতপূর্ব ও ব্যতিক্রমী চরিত্র পর্যবেক্ষণের পর ব্যান্ডদল দলছুটের জনপ্রিয় গানটি অনেকেরই মনে পড়বে। ‘তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বায়স্কোপ, বায়স্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না, বায়স্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বায়স্কোপের সব রহস্য ও বৈশিষ্ট্য রাতারাতি উপলব্ধি ও উন্মোচন করা না গেলেও বেশকিছু নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য ইতিমধ্যে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অভিযোগে প্রতিফলিত হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা, ইসির নতজানু ভূমিকা পালন, বিরোধীদলীয় প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি, তাদের গণসংযোগে দফায় দফায় আক্রমণ, বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের হামলা, মামলা ও গ্রেফতার, প্রার্থীকে গুলি, ইসিতে হাজারও অভিযোগ জমা পড়লেও কোনো অ্যাকশন না নেয়া, ক্ষমতাসীন দলের মনমতো সাজানো পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রদবদল না করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা না করা, নির্বাচন বিষয়ে অভিজ্ঞ সম্মানিত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে দলীয়করণকৃত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রিটার্নিং ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা, বাছাইকৃত দলীয় লোকদের প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ এবং সংসদ না ভেঙে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে বেতন ও সরকারি পদমর্যাদা-প্রটোকল নিয়ে পোশাকধারী বাহিনী ও প্রশাসনযন্ত্রকে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ব্যবহার করা।

এ নির্বাচনে নতুন করে আবারও প্রমাণিত হল যে চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলীয় সরকারাধীনে অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ নির্বাচনের ফলাফল থেকে বিরোধীদলীয় দল-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি অধিকতর যৌক্তিকতা পেল।

অসার ও অবাস্তব প্রমাণিত হল বিচারপতি খায়রুল হকের একটি বিভক্ত (৪:৩) রায়ের দোহাই দিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংস্কারের পরিবর্তে ওই ব্যবস্থা বাতিল করার অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত।

নির্বাচনটি আরও প্রমাণ করল যে, বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিল, যা এ পত্রিকার বিভিন্ন কলামে আমি দশম সংসদ নির্বাচনের পর একাধিকবার লিখেছিলাম।

কারণ, কোনো জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল নির্বাচন করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভোটারদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন জিতে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনার লক্ষ্যে; কিন্তু যদি কোনো দল বুঝতে পারে যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আমি যত জনপ্রিয়ই হই না কেন, যত ভোটই পাই না কেন, ক্ষমতাসীন দলীয় সরকার আমার দলকে প্রশাসনযন্ত্র ও পোশাকধারী বাহিনী ব্যবহারের মাধ্যমে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে জিততে দেবে না, তাহলে সে দল কেন সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? তাদের সে সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা দশম সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত ৪ রকমের স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও প্রমাণিত হয়েছে।

কিন্তু সরকার হামলা-মামলায় বিএনপিকে কাবু করে তাদের দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। কিন্তু বিএনপিও তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।

কিন্তু দলটির চেয়ারপারসন কারাগারে যাওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা আরও বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় বিএনপির সঙ্গে গণফোরাম, জাসদ, নাগরিক ঐক্য মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে পরিস্থিতি ভিন্ন মোড় নেয়।

পরবর্তী সময়ে এ জোটে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, এলডিপি ইত্যাদি দল যোগ দেয়।

উভয় বড় দলের মধ্যে চলমান এ অচলাবস্থার অবস্থান হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে। মহাজোট সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি ছিল না।

তারা বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়ে বলেছিল, দলটির নেতাদের গায়ে পোড়া মানুষের গন্ধ। সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে সংসদ না ভেঙে নির্বাচন হবে এবং ওই নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবে কিনা সেটা সে দলের সিদ্ধান্ত।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেন সরকারের কাছে সংলাপের প্রস্তাব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার সংলাপে বসতে রাজি হয়।

ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১৩ দফা লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসলে সরকারপক্ষ তাদের একটি দাবিও মানেনি।

তারপরও ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি ও সরকারকে টেস্ট কেস হিসেবে দলীয় সরকারাধীনে অবাধ নির্বাচন করার সুযোগ দেয়।

তবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার স্বার্থে সরকার এ সুযোগ কাজে লাগায়নি। পরিবর্তে, প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনীর সহায়তার ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে এমন এক নির্বাচন করে, যা দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আবারও সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে নতুন কলংক সৃষ্টি করে।

সরকার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো দাবি না মেনে তাদের নির্বাচনে আনতে পেরেছে। তবে কোনো দাবি না মানলেও ঐক্যফ্রন্টকে কিছু প্রতিশ্র“তি দেয়া হয়েছিল।

যেমন তাদের নেতাকর্মীদের আর গ্রেফতার করা হবে না, সিডিউল ঘোষণা করার পর আর নতুন মামলা দেয়া হবে না, তাদের নির্বাচনী প্রচারণা ও সভা-সমাবেশে বাধা প্রদান করা হবে না ইত্যাদি।

কিন্তু এর একটি দাবিও না মেনে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করা হয়েছে। তবে সরকার দুটি কাজে হাজারও চেষ্টা করে সফল হতে পারেনি। তার একটি হল সরকার চেয়েছিল বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিয়ে লাঙ্গল আর হাতপাখাকে নিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল দেবে।

আরেকটি চেষ্টা হল সরকার হেফাজতকে নিষ্ক্রিয় করতে পারলেও বহু বছর চেষ্টা করেও বিএনপি থেকে জামায়াতকে সরাতে পারেনি।

দেশের মালিক জনগণ। সংসদ হল দেশ পরিচালনার স্নায়ুকেন্দ্র। গণপ্রতিনিধিরা সংসদে আইন তৈরি করেন। সংসদীয় কার্যকারিতার জন্য সরকারি কাজের গঠনমূলক বিরোধিতার জন্য প্রয়োজন হয় একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের।

দীর্ঘদিন থেকে এ দিক দিয়ে বাংলাদেশের সংসদ দুর্বলতায় ভুগছে। শক্তিশালী বিরোধী দলের অনুপস্থিতি সরকারকে অনেকটা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠতে সুযোগ করে দেয়।

দশম সংসদেও সরকার একটি অনুগত ও সরকারের মন্ত্রী হওয়া বিরোধী দল সৃষ্টি করতে পারলেও তাকে প্রকৃত অর্থে বিরোধী দল বলা যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল।

এবারও সংসদ গঠিত হলে হয়তো সরকারের একই অবস্থা হবে। সংসদে সরকারের সমালোচনা করার মতো কোনো শক্তিমান বিরোধী দল থাকবে না। ফলে সরকার যা খুশি তা-ই করতে পারবে। এটা যুগপৎ সংসদীয় কার্যকারিতা বা গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য এক অশনিসংকেত।

ইসি রেফারি হিসেবে মাঠে নেমে সরকারি দলের সুবিধার জন্য বাঁশি বাজিয়েছে। প্রশাসনিক রদবদল এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না করে সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে সন্ত্রাস করতে পরোক্ষ প্রশ্রয় ও উৎসাহ দিয়েছে।

দু’বার সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে সবার মতামত উপেক্ষা করে সরকারি পরামর্শে একগুঁয়েমি করে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে মাত্র ৬টি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করে লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি করেছে।

ইসির কার্যকলাপ পরীক্ষা করলে প্রতীয়মান হয় যে, তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পরিবর্তে অঘোষিত কোনো একটি দলের ডিকটেশনে কাজ করেছে।

ইসি এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা দেয়ার ব্যবস্থা করলেও ডিজিটাল বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে অনলাইনে মনোনয়নপত্র উত্তোলনের ব্যবস্থা করে শোডাউন এড়ানোর ব্যবস্থা করেননি।

সরকারদলীয় শোডাউনকে ‘নির্বাচনী উৎসাহ’ হিসেবে বিবেচনা করে বিরোধী জোটের শোডাউনকে ‘নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ’ হিসেবে বিবেচনা করেছে।

পোশাকধারী বাহিনীকে যথাযথভাবে ব্যবহার না করায় নির্বাচনী সহিংসতায় ২১ জনের মৃত্যু (মানবজমিন, ৩১.১২.২০১৮) দেশপ্রেমিক পোশাকধারী বাহিনীর গায়েও কালি লাগিয়েছে।

ইসির প্রতিটি কথা ও কাজের মধ্যে যে পক্ষপাত ও চাতুরী ছিল তা নির্বাচন গবেষকরা ক্রমান্বয়ে উন্মোচন করবেন।

ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে যদি বিরোধী দলকে স্পেস না দেয়া হয়, যদি তাদের ক্রমান্বয়ে নিশ্চিহ্ন করার পলিসি গ্রহণ করা হয়, তাহলে সমাজে স্থিতিশীলতা সৃষ্টি হওয়ার পরিবর্তে উগ্রবাদ বাড়বে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে বিরোধী দলকে স্পেস দেয়ার পরিবর্তে তাদের নিশ্চিহ্ন করার সরকারি পরিকল্পনা ও চাতুরী চিত্রিত হয়েছে। সরকার স্বদেশি, বিদেশি মিলিয়ে যতগুলো জরিপ চালিয়েছিল তা সরকারই ব্যর্থ করে দিয়েছে।

এ নির্বাচনের ফলাফলে ভোটারদের মতামতের চিত্র একেবারেই প্রতিফলিত হয়নি। সরকারি জোট দুর্নীতি-কারচুপি ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, যার ওপর রাজনীতির শিক্ষার্থীদের নতুন করে পাঠ গ্রহণ করতে হবে।

গ্রন্থকারদের নির্বাচনী দুর্নীতির ইতিহাসে সংযোজন করতে হবে নতুন একটি অধ্যায়। একটি উদাহরণ দেয়া যাক। খুলনা-১ আসনে (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) মোট ভোটারের সংখ্যা ২,৫৯,৪২০।

কিন্তু সেখানে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়াররা হয়তো কিছুটা তাড়াহুড়োয় ছিলেন। তা না হলে কেবল নৌকা ও ধানের শীষ মিলেই সেখানে মোট ভোটের চেয়ে ২২,৪১৯টি ভোট বেশি পেয়েছে।

এর সঙ্গে লাঙ্গল, হাতপাখা ও কাস্তে সামান্য ভোট পেলেও সেগুলো যোগ করলে মোট ভোটের সঙ্গে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান আরেকটু বাড়তে পারে। একমাত্র আসমানের ফেরেশতা, স্বর্গের দেবতা বা কবরস্থানের মৃতরা ভোট দিলেই এটা সম্ভব হতে পারে।

কিন্তু সরকারি জোটের সুদক্ষ (?) ইলেকশন ইঞ্জিনিয়াররা এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।

দেশকে গণতন্ত্রের সড়কে তোলার একটি চমৎকার সুযোগ এনে দিয়েছিল একাদশ সংসদ নির্বাচন। সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে সে সুযোগ নস্যাৎ করে গণতন্ত্রকে পরাজিত করে নিজদলীয় নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত করেছে।

এখন কবে এবং কীভাবে সবার মতামতের ভিত্তিতে আবার সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে তা দেখতে কত দিন, মাস, বছর বা যুগ অপেক্ষা করতে হয় সেটাই প্রধান ভাবনা। সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়নের জ্বর না কমলে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতা প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে পেছাতে থাকবে।

পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় বেশি দেরি হলে দেশের হার্টে সৃষ্টি হতে পারে অস্থিরতা ও উগ্রবাদের ব্লক। আর ওই ব্লকের ব্যথার তীব্রতায় রিং পরানোর অবস্থা না থাকলে কোন প্রক্রিয়ায় ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে কতদিনে গণতন্ত্র সুস্থ ধারায় আসবে তা ভাবনার বিষয়।

এ অপেক্ষা যত দীর্ঘ হবে, সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও অস্থিরতা তত গভীর হবে। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই।

কাজেই গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা নির্বাচনকে বাঁচাতে নতুন ইসি নিয়োগ প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি দল-নিরপেক্ষ নির্বাচনী ব্যবস্থার উদ্ভাবন ও সেই ব্যবস্থাধীনে ইনক্লুসিভ নির্বাচনই এখন ভাবনার বিষয়।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/128981