১৫ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৫:১০

কোটা বাতিলের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল সময়ক্ষেপনের একটি অপকৌশল

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মরত সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধন শেষে আজ ১৫ জুলাই বেলা পৌনে একটার দিকে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মরত সাংবাদিকদের উপর সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ছাত্র-শিক্ষকদের ও সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১৫ জুলাই প্রদত্ত প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষের সাধারণ ছাত্র, শিক্ষকদের ও কর্মরত সাংবাদিকদের উপর আজ ১৫ জুলাই পৌনে একটায় সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মরত সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মরত সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, কর্মরত সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন পর্যন্ত ভেংগে দিয়েছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এ থেকে জাতির সামনে পরিস্কার হয়ে গিয়েছে যে, কোটা সংস্কারের ব্যাপারে সরকারের কোন আন্তরিকতা নেই। কোটা বাতিলের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল অযথা সময়ক্ষেপনের একটি অপকৌশল মাত্র।

কোটা সংস্কারের পক্ষের ছাত্রদের গ্রেফতার করে তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো এবং জেলে বন্দী করে রেখে সরকার তাদের আন্দোলন দুর্বলকরে দেয়ার অপকৌশল গ্রহণ করে কোটা সংস্কারের আন্দোলন নস্যাত করে দিতে চায়। বর্তমানে যে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা চালু আছে সরকার ছলেবলে-কৌশলে তা বহাল করার জন্য নানা অপকৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করছে।

টালবাহানা বন্ধ করে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে বিরাজমান সংকট নিরসন এবং কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান ও কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারী গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”