মিয়ানমার থেকে নাফ নদীতে বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ও সরকারের নীরব ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৬ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ৫ জুন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে ফেরার পথে নির্বাচন কর্মকর্তা ও ৮ জুন ইট-বালু ও খাদ্যসামগ্রী বহনকারী ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়। নাফ নদীতে বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিনই গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। গত ১১ জুনও গুলির ঘটনা ঘটেছে। ফলে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় সেন্টমার্টিনের ১০ হাজারের মতো অধিবাসী বন্দি হয়ে পড়েছেন। সেখানে খাদ্য, ঔষধ ও নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। অসুস্থরা উন্নত চিকিৎসার জন্য মূল ভূখণ্ডে আসতে পারছেন না। দ্বীপবাসীর মধ্যে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে চরম অস্থিরতা বিরাজ করলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বাংলাদেশ সরকারকে। এটা খুবই দুঃখজনক। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের জানমালের নিশ্চয়তা বিধান করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা গণবিচ্ছিন্ন সরকার সে দায়িত্ব পালনে কোনো ভূমিকা রাখছে না। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের জন্য এটা খুবই অমর্যাদাকর। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আমরা দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকারের নতজানু ভূমিকার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”