সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইতালিয় নাগরিক তাভেলা সিজার নিহত হওয়ার কয়েকদিন যেতে না যেতেই রংপুরে একজন জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের দেশে বিভিন্ন সংস্থায় বহু বিদেশী নাগরিক কাজ করেন। তারা আমাদের সম্মানিত মেহমান। দেশবাসীর মতো তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। তাদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা আমাদের সরকারের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সরকার এ দায়িত্ব পালনে একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জন বিদেশী নাগরিকের খুনের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে জাতি হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।
বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে না পারা আমাদের জন্য জাতি হিসেবে লজ্জা এবং বেদনার ব্যাপার। এসব ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা দিন দিন প্রশ্নবোধক হচ্ছে। বর্তমান সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজ দলের কর্মীর মত ব্যবহার করছে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান কাজ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করাÑ তা ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। বিদেশী নাগরিকরা বাংলাদেশে আসতে ভয় পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে ক্রিকেট টীম পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য তাদের দেশের নাগরিকদেরকে বাংলাদেশে সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিয়েছে।
দেশ এবং জাতির স্বার্থে এ দুটো হত্যাকা-ের ঘটনার সুষ্ঠু অর্থবহ ও ত্বরিত তদন্তের মাধ্যমে মূল রহস্যের উদঘাটন, কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা উদঘাটন এবং প্রকৃত খুনিদেরকে পাকড়াও করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি বিধান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে এ সমস্ত স্পর্শকাতর জাতীয় ইস্যুতে সকল রাজনৈতিক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সন্ত্রাসী খুনিদেরকে দমন করার ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য সকল মহলকে এগিয়ে আসার জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। নিহত জাপানি নাগরিকের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং জাপান সরকারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”