১৭ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার, ১১:২৪

ইসলামী আন্দোলন করার কারণেই সরকার জামায়াত শিবিরের নির্দোষ নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করছে

আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে আজ ১৭ নভেম্বর নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুস সাত্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা সোহরাব আলীকে, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সাংগঠনিক উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও ১২নং পেরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব গোলাম সরোয়ার কামাল মজুমদারসহ কুমিল্লা, বি-বাড়ীয়, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাজীপুর জেলা থেকে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ১৭ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসলামী আন্দোলন করার কারণেই সরকার জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নির্দোষ নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করে জেলে বন্দী করছে।
জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে কখনো ইসলামী আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। সরকার বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে দেশের জেলখানাগুলো ভরে ফেলেছে। জেলখানাগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চাইতে অনেক বেশী লোককে বন্দী করে রেখে সরকার তাদের উপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালিয়ে কখনো ¯ৈ^রশাসন দীর্ঘায়িত করা যায় না। জনগণের আন্দোলনেই ¯ৈ^রশাসকের পতন হয়। জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
তাই গ্রেফতার ও অত্যাচার বন্ধ করে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমীার মাওলানা আবদুস সাত্তার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোহরাব আলীসহ সারা দেশে জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।”