১২ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার, ২:৪৮

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার গোটা রিপোর্টটিই কাল্পনিক

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “দেশজুড়ে নাশকতার ছক জামায়াতের” শিরোনামে আজ ১২ জানুয়ারী প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ১২ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার গোটা রিপোর্টটিই কাল্পনিক। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার হীন উদ্দেশ্যেই এ বানোয়াট রিপোর্টটি প্রচার করা হয়েছে।
দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টে ‘সারা দেশে বড় ধরনের নাশকতার ছক আঁটছে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যোগাযোগ করছে একাধিক জঙ্গী সংগঠনের প্রশিক্ষিত সদস্যদের সঙ্গে। তাদের আত্মঘাতি হওয়ার প্রলোভনও দেখানো হচ্ছে। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের নিকট থেকে পুলিশের উদ্ধারকৃত টাকার মধ্য থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ৫ আত্মঘাতিকে দেয়ার কথা ছিল। বাকী ৫০ লক্ষ টাকা জঙ্গি সংগঠনকে দেয়ার কথা ছিল।’ মর্মে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। এ সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সন্ত্রাসী রাজনীতিকে ঘৃণা করে। তাই দেশ জুড়ে জামায়াতের নাশকতার ছক আঁটা কিংবা জঙ্গীদের সাথে যোগাযোগ করা বা আত্মঘাতি হওয়ার জন্য জঙ্গীদের প্রলোভন দেখানোর প্রশ্নই আসে না। ৫ জঙ্গীকে ৫০ লক্ষ টাকা দেয়ার কথা সম্পূর্ণ অবান্তর। ২১টি জঙ্গী সংগঠনকে দলে ভিড়ানো ও তাদের টাকা দেয়া এবং জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের দেশজুড়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ, গান পাউডার, বোমা, ককটেল মজুদ করা এবং জামায়াতের নেতাদের বহনকারী পুলিশের ভ্যানে জামায়াতের হামলা চালানোর যে আশঙ্কার কথা লেখা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। এ সব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। জেএমবি, হুজি ও আনসার উল্লাহ বাংলাটিমসহ কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক নেই।
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানিয়ে আশা করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে চেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”