২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার, ১১:০৮

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কায়দায় ইউনিয়ন পরিষদ দখল করার অপচেষ্টা করছে

প্রথম ধাপে ৭৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেবার শেষ দিন আজ ও গতকাল প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি এবং জামায়াত সমর্থিত ও অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মারধর, বাড়ীতে হামলা, অপহরণ, মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়া ও বাধা প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৩ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশের একটি প্রাচীনতম দল। বর্তমানে তারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। গণতান্ত্রিক দল হিসেবে তারা নিজেদের পরিচয়ও দেয়। কিন্তু দেশের জনগণ অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছে যে, আওয়ামী লীগ এতটাই গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যে, জনগণের ভোটের প্রতি তাদের আর কোন আস্থা নেই।

জনগণ শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভোট প্রদানের সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগ অতীতের সকল নিয়মকানুন ভঙ্গ করে সন্ত্রাসী কায়দায় ইউনিয়ন পরিষদ দখল করার অপচেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা লক্ষ্য করছি যে, প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা যে সব জায়গায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে সব স্থানে ব্যাপকভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তারা প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন আজ ও গতকাল বিএনপি এবং জামায়াত সমর্থিত ও অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মারধর, বাড়ীতে হামলা, প্রার্থী অপহরণ, মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়া এবং মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান করেছে। তাদের এই তাণ্ডব দেখে জনগণ ভীষণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধী প্রাথীকে দারুনভাবে ভয় করছে। তাই যোগ্য প্রার্থী যাতে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করছে। দুর্ভাগ্যক্রমে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হওয়া সত্তে¡ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সহযোগিতা করছে। সরকারের আজ্ঞাবহ মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের যেন কোন দায়িত্বই নেই। অনেক প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্তা ব্যক্তিরা বলছেন, বাইরের দায়িত্ব আমাদের নয়, ভিতরে শান্তিপূর্ণ উপায় মনোনয়ন পত্র জমা হচ্ছে। অথচ তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের হুকুম অনুযায়ী কাজ করার কথা।
আওয়ামী লীগের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দ্বারা বুঝা যায় যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। এরপরেও বিরোধী দল গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আমি দেশের ভোটার ভাই ও বোনদেরকে আওয়ামী লীগ সরকারের এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা বানচাল করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।”