২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ১১:০৬

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জাতিকে বিভক্ত করার শামিল

গত ২৪ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “জামায়াত-শিবির যেন পুলিশে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের সচেতন থাকার” যে আহ্বান জানিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য জাতিকে বিভক্ত করার শামিল।

পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী পাওয়ার অধিকার দেশের সকল নাগরিকদেরই আছে। কাজেই পুলিশের চাকুরীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের লোকদের নিযুক্ত না করার জন্য তিনি আহ্বান জানাতে পারেন না। তার এ বক্তব্য দেশের আইন ও সংবিধানের পরিপন্থী। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের বৈধ ও আইনানুগ সংগঠন। এ সংগঠন দু’টি সম্পর্কে তিনি এ ধরনের অন্যায় ও অবৈধ বক্তব্য দিতে পারেন না। তার এ বেআইনী বক্তব্যে দেশের সচেতন নাগরিকগণ বিস্মিত, বিক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে দেশের জনগণ এ ধরনের বিদ্বেষ প্রসূত ও বৈষম্যমূলক বক্তব্য প্রদান আশা করে না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ রাখতে হবে যে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি কোন দলীয় পদ নয়। এটি সরকার প্রধানের পদ। এই অবস্থান থেকে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা একাধারে দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত, অন্যায্য এবং অনৈতিকও বটে। তার এ বক্তব্য একজন নাগরিকের অধিকার হরনের শামিল এবং সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে নাগরিকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। প্রধানমন্ত্রীকে এ ধরনের নগ্ন হস্তক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সংবিধানে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারী চাকুরীতে লোক নিয়োগের কোন বিধান নেই। তাই আমরা মনেকরি এই বক্তব্য সংবিধান লংঘনেরই শামিল। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ও অন্যায্য কোন বক্তব্য প্রদান করে দেশের কোন সম্মানিত নাগরিকের অধিকার হরনের অপচেষ্টা করবেন না।”