২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শনিবার, ১১:০৫

বার্তা সংস্থা এপি পরিবেশিত খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ট্যারিফ আইন সংশোধনের বিলে সই করায় বাংলাদেশে নির্যাতিত নারীদের দিয়ে তৈরী পোষাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে পারবে না মর্মে বার্তা সংস্থা এপি পরিবেশিত খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৭ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ট্যারিফ আইন সংশোধনের বিলে সই করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশে নির্যাতিত নারীদের দিয়ে তৈরী পোষাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে পারবে না।

১৯৩০ সালের ট্যারিফ আইনটি ৮৫ বছর পর সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দাসদের দিয়ে ধরা মাছ এবং আফ্রিকায় শিশু শ্রম ব্যবহার করে সোনার খনি থেকে উত্তোলিত সোনা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জানি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কোন কোন দেশ ও আফ্রিকার ক্ষেত্রে যে কথা বলা হয়েছে তা তাদের জন্য প্রযোজ্য হলেও বাংলাদেশে জোর করে বা নির্যাতন করে কোন নারীকে দিয়ে শিল্প পণ্য উৎপাদন করা হয় বলে আমাদের জানা নেই। তারপরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোন গ্রহণ যোগ্য অভিযোগ বা প্রমাণ যদি থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে শিল্প মালিক ও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদেরকে সংশোধন করার তাগিদ দেয়া প্রয়োজন।

এমনকি এ ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সংগ্রহ ও তদন্ত করে দুই দেশের সরকারের মধ্যে প্রয়োজনে আলোচনা হতে পারে এবং সে আলোচনার প্রেক্ষাপটে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদও ঠিক করা যেতে পারে । তা-না করে ট্যারিফ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কর্মজীবী নারীদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ সে ক্ষেত্রে নারীদেরকে কর্মে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিব্রত বোধ করতে পারেন এবং নারীদের নতুন করে বেকার হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিবে।

বিষয়টি যথাযথ বিবেচনায় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।”