ভারতের দি হিন্দু পত্রিকাসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অনলাইন ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত “সুষমার সঙ্গে মীর কাসেম ইস্যুতে কথা বলবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী” শিরোনামের খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ০১ মার্চ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“ভারতের দি হিন্দু পত্রিকায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রীমতি সুষমা স্বরাজের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রীমতি সুষমা স্বরাজের সাথে বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে রায়ের জন্য অপেক্ষমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মীর কাসেম আলী সাহেবের মামলা সম্পর্কে কথা বলবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আলোচনার খবরে দেশবাসী বিস্মিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে অন্য দেশের সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার অর্থই হলো সংশ্লিষ্ট মামলায় সরকার কর্তৃক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা। এ খবর প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ জানানো হয়নি। সুতরাং খবরটি সঠিক বলে ধরে নেয়া যায়।
তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করা হয়েছে এবং এ বিচারের বিভিন্ন পর্যায়ে সরকার প্রভাব খাটানোর যে অপচেষ্টা চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট খবরে তা আবারো প্রমাণিত হল। স্কাইপ কেলেংকারী, সাক্ষীদের অপহরণ করার পর ভারতের কারাগার থেকে তাদের মুক্তি লাভ ও সরকারের মন্ত্রীদের নানা ধরনের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, সরকার নানাভাবে এ মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
আমরা সরকারের এ সব অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে অবিলম্বে জনাব মীর কাসেম আলীসহ আটককৃত জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতাকর্মীদের এ মুহূর্তে মুক্তি দাবি করছি।”