ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভা শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারীকে গত ১৮ মার্চ পুলিশ কর্তৃক আটক করার পর এখন তাকে গ্রেফতারের কথা পুলিশ কর্তৃপক্ষের অস্বীকার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের আজ ১৯ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভা শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারীকে গত ১৮ মার্চ পুলিশের আটক করার পর এখন পুলিশ কর্তৃপক্ষের তাকে আটক করার কথা অস্বীকার করার ব্যাপারটি রহস্যজনক।
ছাত্র শিবিরের নেতা আবুজার গিফারী গত ১৮ মার্চ গ্রামের মসজিদ থেকে জুমার নামাজ আদায় করে বের হয়ে বাড়ী যাওয়ার পথে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ এখন তাকে গ্রেফতার করার কথা অস্বীকার করছে। ফলে তার পরিবার-পরিজন এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এখন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তারা পুলিশের হাতে আটক আবুজর গিফারীর জীবন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত ও শংকিত।
এ মাসের প্রথম দিকে যশোর জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের এইচআরডি সম্পাদক মোঃ নূরুজ্জামানসহ তিনজন নেতাকে পুলিশ আটক করার পর পুলিশ এখন তাদের আটক করার কথা অব্যাহতভাবে অস্বীকার করছে। এখনও তাদের কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব নূর মোহাম্মাদকে আটক করার ১৬ দিন পর পুলিশ তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশের এ ধরনের ন্যক্কারজনক আচরণের ফলে ঝিনাইদহ ও যশোর জেলার জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের এ ধরনের বেআইনী ও অমানবিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশী-বিদেশী সকল মানবাধিকার সংস্থা এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারীকে মুক্তি দিয়ে অবিলম্বে তার পরিবার-পরিজনদের নিকট ফেরৎ দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”