২০ এপ্রিল ২০১৬, বুধবার, ১১:১৬

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মন্তব্য সম্পূর্ণ বেআইনী ও অনৈতিক

সাবেক বিচারপতি এ.এইচ.এম. শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গত ১৯ এপ্রিল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে “জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিলের রায় বদলাতে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল।” মর্মে যে ভিত্তিহীন, অসত্য ও অনৈতিক মন্তব্য করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ ২০ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সাবেক বিচারপতি এ.এইচ.এম. শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিলের রায় বদলাতে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। ওই ঘটনার জন্যই মীর কাসেমের এই রায় এসেছে। না হলে রায় অন্যদিকে চলে যেত। কত টাকার লেনদেন হয়েছে.............।” মর্মে যে ভিত্তিহীন অসত্য মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অনৈতিক। এ ধরনের মন্তব্য করে তিনি আদালত অবমাননা করেছেন।

আদালতের রায় সম্পর্কে তিনি এ ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করতে পারেন না। তার এ ধরনের মন্তব্য থেকে বুঝা যায় যে, জনাব মীর কাসেম আলী ন্যায় বিচার পাননি। তাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সাবেক বিচারপতি এ.এইচ.এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ভিত্তিহীন অসত্য মন্তব্যের ফলে ঐ বিচার সম্পর্কেই প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে অপরাধী যারাই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি বিধান করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে এ বিচার প্রক্রিয়ায় কোন অবৈধ হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হলে পুরো বিচার প্রক্রিয়াকে পুনরায় সুষ্ঠুভাবে করার নিশ্চয়তা বিধান করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”