২০ এপ্রিল ২০১৬, বুধবার, ১১:১৫

শিবিরের কর্মী মহিউদ্দিনকে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দেশের আইন, সংবিধান ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ ঈশ্বরবা গ্রামের অধিবাসী ও কালীগঞ্জ কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী মহিউদ্দিন সোহানকে পুলিম গত ১০ এপ্রিল তুলে নেয়ার পর আজ ২০ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আজাদ আজ ২০ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ কলেজের ছাত্র ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী মহিউদ্দিন সোহানকে পুলিশ তুলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দেশের আইন, সংবিধান ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই।

পুলিশ গত ১০ এপ্রিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী মহিউদ্দিন সোহানকে কালীগঞ্জের ঈশ্বরবা গ্রামের জামতলা থেকে আটক করে নিয়ে যায়। ১২ দিন তাকে নিখোঁজ করে রাখার পর আজ ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বুলকিয়া চন্দতলা মাঠে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গিয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মী মহিউদ্দিন সোহানের হত্যাকা-ে তার পিতা-মাতা ও পরিবার-পরিজন এবং আমরা সকলেই গভীরভাবে শোকাহত।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি এভাবে বেআইনীভাবে মানুষকে আটক করার পর গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিধান করবে কে? পুলিশের এ ধরনের নৃশংসতায় দেশবাসী শংকিত ও উদ্বিগ্ন। ঝিনাইদহে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পুলিশ একের পর এক হত্যা করেই চলেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের বেআইনী ও অমানবিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশী-বিদেশী সকল মানবাধিকার সংস্থা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মী মহিউদ্দিন সোহানকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এ হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মী মহিউদ্দিন সোহানকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করছি এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া করছি আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফীক দান করুন।”