মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থনের প্রচারিত খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ ১৫ মে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে একে একে হত্যা করছে।
বিচারের জন্য ব্যবহৃত ১৯৭৩ সালের কালো আইন, বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবী, জাতিসংঘ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক মহল থেকে আইনের সংশোধনের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা পেশ করা সত্ত্বেও সরকার তা আমলে নেয়নি। সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য দিয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে তা কার্যকরের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যেভাবে হত্যা করছে তাতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ববাসী প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। দেশের জনগণের নিকট এ বিচার গ্রহণযোগ্য হয়নি। জনগণ মনে করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করছে।
জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের মৃত্যুর পর জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি ও আমীরে জামায়াত শহীদ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার পর তার নিজ এলাকা সাঁথিয়া ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজায় মানুষের ঢল থেকে প্রতীয়মান হয় জনগণ এ বিচার গ্রহণ করেনি এবং জনগণ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অপরাধী বলে মনে করে না।
বিচারের বাস্তবতা উপলব্ধি করে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিচারকে অগ্রহণযোগ্য, অস্বচ্ছ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং মৃত্যুদন্ড বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার আমীরে জামায়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তার হত্যাকা-ের পর সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা আশা করি ভারতও এ সত্যটি উপলব্ধি করবে। বাংলাদেশের জনগণ ভারতকে জনগণের প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে দেখতে চায়, কোন দল কিংবা সরকারের নয়। কিন্তু বিচার সম্পর্কে ভারতের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণকে বিস্মিত ও হতবাক করেছে। আমরা ভারতের এ বক্তব্যে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।”