বন্যাদুর্গত লোকদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে সাহায্য প্রেরণ ও গবাদী পশুর ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে সাহায্য করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১৬ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২৮টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি গবাদী পশুর ব্যবসায়ী ও খামারীগণ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদী পশুর ব্যবসায়ী ও খামারীদের বিশেষভাবে সাহায্য করা প্রয়োজন।
আসন্ন কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গবাদী পশুর ব্যবসায়ী ও খামারীরা সারা দেশে কুরবানীর জন্য গবাদী পশু সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঠিক সেই সময় দেশে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়েছে। বন্যার পানিতে মানুষের ঘর-বাড়ি ও গবাদী পশুর খামার তলিয়ে গিয়েছে। ফলে গবাদী পশু রাখার মত শুকনো জায়গাও নেই। তদুপরি পশুর খাদ্যেরও অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। খাদ্যাভাবে ও পানির মধ্যে রাখার কারণে অনেকের পশু মরেও যাচ্ছে। যে কারণে ব্যবসায়ী ও খামারীদের গবাদী পশু অল্প দামেই বিক্রয় করতে হবে এবং লোকসান গুণতে হবে। ফলে গবাদী পশুর ব্যবসায়ী ও খামারীরা বিশেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। তাদের বিশেষভাবে সাহায্য করা হলে তারা আবার স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু পাবে।
দেশের বন্যাদুর্গত ২৮টি জেলায় সরকারী সাহায্য নেই বললেই চলে। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা জোর গলায় প্রচার করছে বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রীর কোন অভাব নেই। তাদের মুখের কথার সাথে বাস্তব অবস্থার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বন্যাদুর্গত অঞ্চলের বাস্তব অবস্থা হলো ঘর-বাড়ি ছেড়ে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তারা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। মানুষ ত্রাণ সামগ্রীর জন্য হাহাকার করছে। বন্যা দুর্গত অঞ্চলে খাদ্য, বস্ত্র. বাসস্থান, বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং চিকিৎসক ও ঔষধসহ চিকিৎসা সামগ্রীর প্রচ- অভাব।
তাই বন্যাদুর্গত অঞ্চলের গবাদী পশুর ব্যবসায়ী ও খামারীদের বিশেষভাবে সাহায্য দান এবং বন্যাদুর্গত অঞ্চলের লোকদের জন্য দ্রুত খাদ্য, বস্ত্র, বিশুদ্ধ খাবার পানি, মেডিকেল টীম ও ঔষধসহ চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”