৩০ মে ২০১৬, সোমবার, ৫:৪৬

নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৯ মে বিকেলে জাপানের স্থানীয় ইম্পেরিয়াল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধণা সভায় প্রদত্ত বক্তব্যে “বিএনপি জামায়াতের জোট দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্যই পরিকল্পিতভাবে গুপ্ত হত্যা করছে। মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, গীর্জার পাদ্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নিরীহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেই চলেছে।” মর্মে যে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৩০ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই এ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতিকে ঘৃণা করে। তাই গুপ্ত হত্যা ও পুড়িয়ে মানুষ হত্যা এবং মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, গীর্জার পাদ্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নিরীহ সাধারণ মানুষ হত্যার সাথে জামায়াতের জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। দেশবাসী সকলেই জানেন যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাই বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে এবং সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে তাদের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা দখল করে ও তাদের হত্যা করে থাকে। এমনকি নিজেরাই নিজেদের নেতা-কর্মীদেরকে অহরহ হত্যা করছে। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার হীন উদ্দেশ্যেই তিনি এখন জামায়াতের বিরুদ্ধে অসত্য ও কাল্পনিক বক্তব্য দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তার এ বক্তব্য দেশের জনগণ যেমন বিশ্বাস করে না, তেমনি বিদেশী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও তার এ অসত্য বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো ধ্বংসের রাজনীতি করে না এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায় না। সকলেই জানেন যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে বিনা বিচারে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, অপহরণ ও গুম করছে এবং দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে এবং বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট করছে। সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পদ ভাংচুর করে ও জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছে।

দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের চরম ব্যর্থতার কারণেই দেশে গুপ্ত হত্যা, সন্ত্রাস, অপহরণ, গুম, হত্যা চলছে। এর সাথে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার বা রায় কার্যকরের কোন সম্পর্ক নেই। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী জামায়াতের বিরুদ্ধে অসত্য বক্তব্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

নিজের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।”