গত ৩১ মে রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নং হাসমত আলী রোডের দ্বীপ ম্যানসনের বাসিন্দা জামায়াতের রুকন জনাব আবদুস সবুর ও তার পুত্র তাসনিম আহমাদ তাহসিন এবং চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত অফিসের অফিস সহকারী জনাব সৈয়দুল আলমকে অন্যায়ভাবে পুলিশের গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “চট্টগ্রামের হালিশহর নিবাসী জনাব আবদুস সবুর ও তার এক পুত্র এবং চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত অফিসের অফিস সহকারী জনাব সৈয়দুল আলমকে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। অযথা হয়রানী করার উদ্দেশ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
জনাব আবদুস সবুর ও তার পুত্র মিলে এক বাসায় বসবাস করেন। তাদের গোপন বৈঠক ও সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করার প্রশ্নই আসে না। গোপন বৈঠক ও সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করার কথা পুলিশের বানানো। পুলিশের কথিত গোপন বৈঠক ও সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করার বানোয়াট অভিযোগ মানুষের জীবন নিয়ে কপট রসিকতা করা ছাড়া আর কিছু নয়। নাগরিকদের জন্য এটি অপমানজনক এবং সমাজের জন্য নিতান্তই লজ্জাকর। মানুষের জীবন নিয়ে এ ধরনের কারসাজি করার কোন এখতিয়ার তাদের নেই। পিতা ও পুত্রসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন এক বাসায় বসবাস করাও নিরাপদ নয়।
ইসলামী বই-পুস্তক বাসায় রাখলেই বলা হয় যে, জিহাদী বই বাসায় ছিল। তাহলে কী মানুষ ইসলামী বই-পুস্তক ঘরে রেখে অধ্যয়ন করে জ্ঞান অর্জনও করতে পারবে না? ইসলামী বই-পুস্তককে জিহাদী বই আখ্যা দিয়ে তারা মানুষকে ইসলামী জ্ঞান অর্জনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
এভাবে মানুষকে অযথা হয়রানী করা বন্ধ করে চট্টগ্রামের হালি শহরের বাসিন্দা জনাব আবদুস সবুর ও তার পুত্র তাসনিম আহমাদ তাহসিন এবং চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত অফিসের অফিস সহকারী জনাব সৈয়দুল আলমকে অবিলম্বে নি:শর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”