নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রমজান মাস আসার পূর্বেই আটা, ময়দা, মশুর ডাল, ছোলা, চিনি, মাছ, গোশত, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধগতিতে আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
সরকারের উপর মহলের সাথে যোগ সাজস করে এক শ্রেণীর অতিরিক্ত মুনাফা লোভী, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী পবিত্র রমজান মাস আসার পূর্বেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধগতিতে সীমিত আয়ের লোক এবং নিম্নমধ্যবৃত্ত ও দরিদ্র লোকদের নাভিশ্বাস উঠেছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে মশুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রয় হত ১২০ টাকা, বর্তমানে প্রতি কেজি মশুর ডাল বিক্রয় হচ্ছে ১৫০ টাকা, ছোলার ডাল বিক্র হত প্রতি কেজি ৯০/৯৫ টাকা, বর্তমানে বিক্রয় হচ্ছে কেজি ১২০ টাকা, গরুর গোশত বিক্রয় হত প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, বর্তমানে ৪৫০ টাকা, মুরগী ১৪০ টাকা প্রতি কেজি, বর্তমানে ১৮০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। চিনি প্রতি কেজি বিক্রয় হত ৫৪/৫৫ টাকায়, বর্তমানে বিক্রয় হচ্ছে ৬৪/৬৫ টাকা দরে। বিভিন্ন ধরনের মাছের দাম কেজি প্রতি ৫০/৬০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ ১লা জুন বাজেট পেশ করার সাথে সাথেই দ্রব্যমূল্য আরো এক ধাপ বৃদ্ধির আশংকা করা হচ্ছে।
এভাবে হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোন সুনির্দ্দিষ্ট কারণ নেই। অতিরিক্ত মুনাফাখুরীর উদ্দেশ্যেই দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, এটা সরকার ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে রাখার জন্য সরকারের দায়িত্ব হলো কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা। বাজার মনিটরিং করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার কারণেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
আসন্ন রমজান মাসে যাতে সীমিত আয়ের দরিদ জনগণ দু’বেলা খেয়ে রোজা পালন করতে পারে সে জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য দরিদ্র জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”