কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পরাজিত হলে তার সমর্থকগণ আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ধনকুরা গ্রামে রাতের বেলায় ধনকুরা দূর্গা মন্দিরের সভাপতি বিনয় চন্দ্র দাসের বাড়িতে ও মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৬ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “কিশোরগঞ্জ জেলার আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধনকুরা গ্রামের বিনয় চন্দ্র দাসের বাড়িতে ও মন্দিরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনার দ্বারা আবারও প্রমাণিত হলো যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাই সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে ও মন্দিরে হামলা চালিয়ে থাকে।
সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলাকালে সরকারী দলের ক্যাডারদের দ্বারা দফায় দফায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরীহ লোকজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়েছে। কোথাও কোথাও তাদের ওপর শারিরীক নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং তাদের সহায়-সম্পদ লুটতরাজ করা হয়েছে। এটুকু করেই সরকারী দলের ক্যাডাররা ক্ষ্যান্ত হয়নি, উপরন্তু তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ঘরবাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়েছে এবং কোথাও কোথাও বাস্তবে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়া করেই ছেড়েছে। এটি আওয়ামী লীগের নতুন কোন অপকর্ম নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই তারা এ অপকর্মটি বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিবেকবান নাগরিকদের এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট এবং সোচ্চার ভূমিকা পালন করা উচিত। কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদাই বলা উচিত। এ ধরনের অপকর্মের ব্যাপারে কারো কাছ থেকেই ঘটনা ধামাচাপা দেয়া কাম্য নয়।
আবহমান কাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ হিসেবে যে ঐতিহ্য লালন করে আসছে, তা আওয়ামী লীগ ও তাদের দলীয় ক্যাডারদের কারণে বারবার হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন না হয়ে পাড়ি না। এ সমস্ত অপকর্মের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা একান্ত প্রয়োজন।
আমরা নির্দ্বিধায় বলতে চাই, বর্তমান বলদর্পী, কর্তৃত্ববাদী এবং জুলুমবাজ সরকারের পক্ষে সংঘ্যালঘুদের ওপর হামলা ও জুলুম-নির্যাতনের কোন প্রতিকার করা আদৌ সম্ভব নয়। কারণ তারা নিজেরাই এ অপকর্মের হোতা। বিশ্ব সংস্থার অভিভাবক হিসেবে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইট্স কমিশনের এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এতে আশা করা যায় সংঘ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন এ আগ্রাসী শক্তির হাত থেকে বাঁচার পথ খুজে পাবে।”