১৩ জুন ২০১৬, সোমবার, ৫:০১

যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ দুর্বৃত্তদের পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা

গত ১১ জুন রাতে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক মা ও তার মেয়েকে জোর পূর্বক ট্রলারে উঠিয়ে যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্বৃত্তদের পালাক্রমে ধর্ষণ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আজাদ আজ ১৩ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক মা ও তার মেয়েকে জোর পূর্বক ট্রলারে উঠিয়ে যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্বৃত্ত লম্পটদের পালাক্রমে ধর্ষণ করার ঘটনার দ্বারাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, দেশে আজ কারো জানমাল ও ইজ্জত-আব্রুর কোন নিরাপত্তা নেই।

দেশে বর্তমানে যে অস্থিরতা ও নৈরাজ্যজনক অবস্থা বিরাজ করছে তারই প্রমাণ বহন করছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্বৃত্তদের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক মা এবং তার মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা। ধর্ষণের অভিযোগে ট্রলার থেকে স্থানীয় জেলেরা নূর আলম নামক স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতাকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। ধর্ষণকারীরা সকলেই যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী। সারাদেশে অহরহ যে সব ঘটনা ঘটছে পটুয়াখালীর বাউফলে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা তারই একটি উদাহরণ মাত্র। দেশের মানুষ বর্তমানে জানমাল ও ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন।

ক্ষমতায় থাকাকালে অতীতেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বাড়ি-ঘর, জমাজমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেছে এবং বহু নারীর সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। বর্তমানেও তারা এ সব অপকর্মে চরম বেপরোয়া।

পটুয়াখালীর বাউফলে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে দুর্বৃত্ত লম্পটদের উপযুক্ত কঠোর শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি যে, কেউ যেন দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে পার পেয়ে না যায়।”