২৯ জুন ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৫

জাতীয় সংসদে কণ্ঠ ভোটে যে জনস্বার্থ বিরোধী অর্থ বিল ও বাজেট পাস হয়েছে তা জনগণের নিকট মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়

আজ ২৯ জুন জাতীয় সংসদে কণ্ঠ ভোটে যে জনস্বার্থ বিরোধী অর্থ বিল ও বাজেট পাস হয়েছে তাতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২৯ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অর্থমন্ত্রী এ বাজেটকে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট বলে উল্লেখ করলেও তার এ বক্তব্য ব্যবসায়ীসহ জনগণের নিকট মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতের উপর আবগারী শুল্ক আরোপসহ বেশ কিছু জনস্বার্থ বিরোধী প্রস্তাব উপস্থাপন করায় তা তীব্রভাবে সমালোচিত হয়। বিশেষ করে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় জনগণ পেরেশান হয়ে পড়ে। সমালোচনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, সংসদে সরকারী দলের সদস্যরাও অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন এবং কেউ কেউ তার পদত্যাগও দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কয়েক জন সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রী অর্থমন্ত্রীকে প্রটেকশন দেন। এর পরেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাটের আইন ২ বছরের জন্য স্থগিত, ব্যাংকে গচ্ছিত এক লাখ টাকার উপর আবগারী শুল্ক বাতিল, চাউলের আমদানি শুল্ক শতকরা ২৮ ভাগ থেকে কমিয়ে ১০ ভাগ করাসহ কতিপয় পদক্ষেপের জন্য অর্থমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে বাধ্য হন। বাজেটের ক্ষেত্রে এ সব সংশোধনী প্রমাণ করে, আগামী সংসদ নির্বাচনে জনগণের তোপের মুখে পড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্যই শেখ হাসিনা বাজেটে ঐ সব সংশোধনী আনতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণ সরকারের এসব ভেজাল ও ধোঁকাবাজি ভাল করেই বোঝে। নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী এ সব পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।

এ সরকারের আমলে সরকারী দলের লোকেরা ব্যাংকগুলোর অর্থ লুটেপুটে খেয়েছে। শেয়ার বাজার লুট করা হয়েছে। সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে করারোপ করে জনগণের পকেট থেকে অর্থ লুট করেছে। লুটেপুটে খাওয়া ব্যাংকগুলোকে সচল রাখার জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ব্যাংকে একই পরিবারের চারজন পর্যন্ত পরিচালক থাকার বিধান রাখা হয়েছে। সরকারের এ লুটপাটের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধস নামা শুরু হয়েছে।

ব্যাপক লুটপাট এবং নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য শুভঙ্করের ফাঁকির এই বাজেট জনগণ গ্রহণ করেনি। উপরন্তু সকল মহলই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

জনগণকে নিজ স্বার্থ রক্ষায় সকল ভাওতাবাজি ও চোখ রাঙ্গানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”