১৩ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৬:৪৮

কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

কওমী সনদের স্বীকৃতিদানের বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের দীর্ঘসূত্রীতা কিংবা অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ দেশবাসী মেনে নিবেনা

কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি সুষ্ঠুভাবে ও স্বল্পতম সময়ে বাস্তবায়নে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১৩ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি প্রদান কওমী মাদ্রাসার আলেম-ওলামাগণের দীর্ঘ দিনের ন্যায্য দাবি। কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন করা বর্তমান সময়েরও দাবি।

কওমী মাদ্রাসার আলেম-ওলামাগণ তাদের সনদের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন করে আসছেন। স্ব-স্ব যোগ্যতা অনুযায়ী দেশের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার অধিকার দেশের সকল নাগরিকই রাখেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারী স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন এবং চারদলীয় জোট সরকার ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট প্রজ্ঞাপণ জারী করে কওমী মাদ্রাসাকে সরকারী স্বীকৃতি প্রদান করেন। চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে এই স্বীকৃতি প্রদান করায় চারদলীয় জোট সরকার তা কার্যকর করে যেতে পারেনি।

গত ১১ এপ্রিল কওমী মাদ্রাসার শীর্ষস্থানীয় ও বিশিষ্ট আলেম-ওলামাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরায় সরকারী স্বীকৃতিদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। দেশবাসী দেখতে চায়, সরকার কোন রকম রাজনৈতিক কূটকৌশল ছাড়াই কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারী স্বীকৃতিদানের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে স্বচ্ছ ও সফলভাবে বাস্তবায়ন করবেন। এই স্বীকৃতিদানের বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের দীর্ঘসূত্রীতা কিংবা অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ দেশবাসী মেনে নিবেনা।

কওমী মাদ্রাসাকে সরকারী স্বীকৃতি দানের নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাদেরকে ইসলামী শিক্ষার ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনুযায়ী চলতে দিতে হবে। এর কোন ব্যতিক্রম মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।”