৪ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার, ২:৩৭

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার উপসম্পাদকীয় নিবন্ধে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গত ৩ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদঃ জামায়াত ও তার জঙ্গি নেটওয়ার্ক” শিরোনামে জনৈক হাসান ফিরদৌস কর্তৃক লিখিত উপসম্পাদকীয় নিবন্ধে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে পরিবেশিত বিভ্রান্তিকর ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৪ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদঃ জামায়াত ও তার জঙ্গি নেটওয়ার্ক’ শিরোনামে জনৈক হাসান ফিরদৌস কর্তৃক লিখিত উপসম্পাদকীয় নিবন্ধে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে যে সব আজগুবি তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমি এ নিবন্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ নিবন্ধ সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, এ নিবন্ধে জামায়াতের বিরুদ্ধে যে সব কথা লেখা হয়েছে তাতে অতি পুরোনো ভাঙ্গা রেকর্ডই নতুন করে বাজানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন কংগ্রেস সদস্য জিম ব্যাঙ্কস, চাক ফ্লাইশম্যান ও র‌্যান্ডি ওয়েবারের কথিত চিঠির বরাত দিয়ে এ নিবন্ধে জামায়াতের বিরুদ্ধে যে সব কথা লেখা হয়েছে এ ধরনের বহু পুরোনো ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ আমরা এর আগেও করেছি এবং তা সংবাদপত্রে প্রকাশিতও হয়েছে। আমি স্পষ্ট ভাষায় আবারো জানাতে চাই যে, দেশী-বিদেশী কোনো জঙ্গিবাদ বা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। আজ পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সাথে জামায়াতের কথিত সম্পর্ক থাকার কথা কেউই প্রমাণ করতে পারেনি। সকলেই জানেন যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী একটি ইসলামী সংগঠন। জামায়াতে ইসলামী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে সব সময়ই ঘৃণা করে থাকে।  

জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে হত্যা করেছে। যে বিচারের কথা বলা হচ্ছে তা দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ স্টিফেন জে. র‌্যাপ, লর্ড এভিভরি, লর্ড কার্লাইল প্রমুখ আন্তর্জাতিক আইন বিশেষঞ্জগণসহ আন্তর্জাতিক মহল সেই বিচারের নিরপেক্ষতা, ন্যায্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং সেই বিচার কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে এ বিচারের ব্যাপারে ব্যাপক প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। কাজেই এ ধরনের বানোয়াট ভিত্তিহীন নিবন্ধ লিখে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

তাই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক নিবন্ধ লেখা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি হাসান ফিরদৌসের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমি আশা করি প্রথম আলো পত্রিকা কর্তৃপক্ষ অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”