বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, “নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে দেশে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র চলছে। এখন বিভক্তির সময় নয়। দেশ গঠনে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে জামায়াত বদ্ধপরিকর। দলীয় স্বার্থের বিপরীতে সকলকে দেশের স্বার্থকেই বড় করে দেখতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা হবে। এই লক্ষ্যে জামায়াতের রুকন ও নেতাকর্মীদের সংগঠন পরিচালনার পাশাপাশি বৈষম্যমুক্ত দেশ ও জাতি গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতের সমাবেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালায়। ঐদিনই গণতন্ত্র হত্যার পথ রচিত হয় এবং বাংলাদেশ পথ হারায়। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ ১১ জন নেতাসহ প্রায় পাঁচ শত নেতাকর্র্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সারাদেশে জামায়াতসহ বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী, আলেম-উলামা, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং নিরীহ জনসাধারণকে হত্যা, গুম ও খুন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। তাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের প্রতীক শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।”
দিনাজপুর জেলার উদ্যোগে ৪ নভেম্বর সোমবার বেলা আড়াইটায় দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
রুকন সম্মেলনে ২০২৫-২০২৬ কার্যকালের জন্য নব-নির্বাচিত জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান এর শপথ বাক্য পাঠ করান মাওলানা আবদুল হালিম।
শপথ অনুষ্ঠানের পর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর জেলা জামায়াতের নব-নির্বাচিত আমীর অধ্যক্ষ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নীলফামারী জেলা জামায়াতের সদ্য বিদায়ী জেলা আমীর আব্দুর রশীদ, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আফতাব উদ্দিন মোল্লা ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর জেলার সাবেক আমীর আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।