২১ অক্টোবর সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে “ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ সামিট-২০২৪ ইস্তাম্বুল’ শিরোনামে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অব স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন (ইফসু) এর কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এ কনফারেন্স-এ বৃটেন, আমেরিকা, মিশর, এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৮টি দেশের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলিম ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ এ কনফারেন্স-এ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে বাংলাদেশের ছাত্র-যুবক বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ যুব সমাজের গভীর দেশপ্রেম ও চরম সাহসিকতা ফুটে উঠেছে। তারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, জালিম শাসক ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কীভাবে বিজয়ী হতে হয়, কীভাবে মুক্তি সংগ্রাম করতে হয়। মূলত বাংলাদেশের ছাত্র-যুবকরা ছিল এই আন্দোলনের কেন্দ্র বিন্দু। তাদের ত্যাগ-কুরবানী ও রক্তের বিনিময়েই বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।
আজকের এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আশা প্রকাশ করছি যে, বিশ্বের মুসলিম তরুণ, যুবক ও ছাত্র সমাজ ইসলামের দাওয়াত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহসী ভূমিকা পালন করবে। তারা বিশ্বের বুকে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিবে এবং সব ধরনের ফ্যাসিবাদী ও অত্যাচারী জালিম শাসকের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করবে। তারা সকল অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ছাত্র-যুবকরা বিশ্বের বুকে এই উদাহরণ পেশ করেছে।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, বাংলাদেশের গণবিপ্লবে রাজনৈতিক দলের একটা ভূমিকা থাকলেও ছাত্র-যুবকদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই এই আন্দোলন সফল হতে পেরেছে। বাংলাদেশের এই পরিবর্তন দুনিয়ার জন্য একটি শিক্ষা। মুসলিম যুবকদেরকে বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা বাড়াতে হবে। এই লক্ষ্যে আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, মিডিয়া, আইটিসহ সকল ক্ষেত্রে মুসলিম তরুণ যুবকদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতে আগামীর বিশ্বকে গড়তে মুসলিম যুবসমাজকে নেতৃত্ব দিতে হবে। মানব রচিত মতবাদ দিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এক্ষেত্রে ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। কেবল ইসলামই দুনিয়ায় শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
তিনি বলেন, ইফসু যুদ্ধ-বিগ্রহে নিমজ্জিত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি মনে করি, এই লক্ষ্যে ইফসু বিশ্বে মুসলিম যুবকদের সংগঠিত করে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে ইফসু'র মাধ্যমে একদল বলিষ্ঠ নেতৃত্ব তৈরি হবে এবং তারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”