বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সর্বস্তরে মজবুত সংগঠন কায়েম করে সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত কুরআন এবং সুন্নাহর নির্দেশনার আলোকে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে দ্বীনের সঠিক জিম্মাদারী পালন করতে হবে। কারণ আজকে নানা ষড়যন্ত্রের কারণে মানুষ ইসলাম হতে বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান থেকে মানুষ বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এর মাধ্যমে যুব সমাজ পথ হারাচ্ছে। এমতাবস্থায় জামায়াতে ইসলামীর সকল রুকন ভাই-বোনদেরকে দাওয়াতী কাজে আরো বেশি আত্মনিয়োগ করে পথহারা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
তিনি আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং সাবেক ছাত্রনেতা নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বারের সভাপতিত্বে এবং মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের পরিচালক জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার-মিডিয়া বিভাগীয় সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক আমীর জননেতা মাওলানা মঈনুদ্দীন আহমদ। আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাইয়ূম, সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন, সহকারি সেক্রেটারি জনাব জামাল হোসাইন, মাওলানা সাইফুদ্দিন মনির, এইচ এম নাসির উদ্দিন ও জনাব জাকির হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ গঠনের মাধ্যমে ইসলামী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই কুরআন এবং হাদিসের আলোকে নিজেদেরকে গঠনের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজ গঠন করতে সৎ, যোগ্য ও দক্ষ মানুষ তৈরীর ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি এড. মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ইসলাম ফোবিয়ার পরেও দুনিয়াব্যাপী ইসলামের যে গনজাগরণ শুরু হয়েছে তাতে আমরা আশান্বিত। এতে আমরা উপলব্দি করছি যে, অচিরেই দুনিয়ার বিভিন্ন ভূখন্ডে ইসলামী খেলাফাত প্রতিষ্ঠা হবে। আমরাও আমাদের দেশে সেই প্রত্যাশিত কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি জনাব মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, নেতৃত্ব, কর্মী বাহিনী ও সংগঠনের নীতিমালা সংগঠনের মূল উপদান। এই উপদানকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে রুকনদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী সকল অতিথিবৃন্দ ও রুকনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং আগামী দিনে আন্দোলন ও সংগ্রামে সকল রুকন ভাই-বোনদেরকে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।