আমীরে জামায়াত

2024-02-24

ফেনী জেলা জামায়াতের বার্ষিক রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেশের জনগনকে সাথে নিয়ে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, "দেশ আজ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সমগ্র দেশটাই আজ এক বিশাল কারাগারে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে উত্তরণ করতে হলে রুকনদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগের নজরানা পেশ করতে হবে। দেশের জনগনকে সাথে নিয়ে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।"

২৩ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলা জামায়াতের বার্ষিক রুকন সম্মেলনে (পুরুষ ও মহিলা) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এ. কে .এম শামছুদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ.টি.এম মা'ছুম। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক আবু ইউসুফ, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মাওলানা আবদুল হান্নান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহীম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, "জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে একটি ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ তৈরী করতে চায়। এজন্য জামায়াতের প্রতিটা কর্মীকে সমাজকর্মী হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। একজন মুমিনের দুনিয়ার জীবনের সাফল্যের চেয়ে আখেরাতের জীবনের সাফল্য অর্জন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে একজন মুসলমানের দুনিয়াবী সম্পদের চেয়ে ঈমান ও আমলের সম্পদ অনেক বেশী মূল্যবান। তাই আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা নিশ্চিত করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "জামায়াতে ইসলামীর রুকনদেরকে নিজেদের শপথের আলোকে জীবন যাপন করতে হবে। রুকনিয়াতের চেতনা নিজেদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। বর্তমানে আমরা দুনিয়ায় ঘর তৈরী করতে যতটা ব্যস্ত আখেরাতে ঘর তৈরী করতে ততটা বেখেয়াল। আমাদেরকে আখেরাতের ঘর তৈরী করার মত আমল করতে হবে।"

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, "বর্তমান জালিম শাহীর কারাগারে এখনো বন্দী রয়েছেন আমীরে জামায়াতসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী। অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত এসব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবীকে জোরালো করতে হবে।"

তিনি বলেন, "ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা কষ্ট পেলে, জুলুম নির্যাতন ভোগ করলে দু:খ পাওয়ার কিছু নেই বরং এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। তিনি বলেন, রুকনরা হলেন সংগঠনের মূল জনশক্তি। মহান আল্লাহ তায়ালা মেহেরবাণী করে দ্বীনের জন্য আমাদের বাছাই করেছেন। এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা যে শপথ নিয়েছি সে শপথে আল্লাহর অনুগ্রহ রয়েছে। সেই অনুগ্রহকে কাজে লাগিয়ে শহীদি ময়দানের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।"

মাওলানা এটিএম মা'ছুম বলেন, "আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই হতে হবে আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করতে হবে। রুকনিয়াতের শপথের সময় আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। এই প্রতিশ্রুতি লংঘন করলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।"