যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার নূরুন্নবীসহ দেশব্যাপী ২৮ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৪ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৪ নভেম্বর বেলা ১টায় যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার নূরুন্নবীকে সাদা পোশাক পরিহিত ডিবি পুলিশ তাঁর নিজ কর্মস্থল বাদশায় ফয়সাল ইসলামী ইনস্টিটিউট থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। যদিও তিনি সরকারের একটি সাজানো মামলায় জামিনে ছিলেন। তাঁর হার্টে ২টি রিং পরানো আছে। অপরদিকে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল মোমেন-এর পুত্র সাবিতসহ তিনজন ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত ২৬ অক্টোবর সাবিতের বাবা আবদুল মোমেনকে ঘরের দরজা, গ্রিল ও কেসিগেট ভেঙে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার ছোট ছেলেকেও গ্রেফতার করা হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর ২৮ জন নেতাকর্মীকে সরকার বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে। এভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণের আন্দোলন অতীতে যেমন দমন করা যায়নি, তেমনি বর্তমানেও যাবে না। আমি সরকারের এই সব জুলুম-নির্যাতন ও অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ১৪/১১/২০২৩ তারিখের দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকায় সুন্দরগঞ্জের উপজেলা সোনারায় ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম এর হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় জামায়াতকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ডাহা মিথ্যা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। এই হত্যাকান্ডের সাথে জামায়াতে ইসলামীর দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এই বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী জালেম সরকার বিরোধীমতের সমালোচনা সহ্য করতে রাজি নয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মুক্তিকামী মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটের অবাধ লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু জনগণকে তা বলতে দিচ্ছে না। ভয় দেখিয়ে উচ্চকণ্ঠ রুদ্ধ করা হয়েছে। দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।
জনসমর্থনহীন জালেম সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করছে। গোটা দেশটাকেই আজ এক বৃহৎ কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। সারাদেশের মানুষ আজ অবর্ণনীয় জুলুমের শিকার এবং তারা মজলুম হিসেবে আর্তনাদ করছে। জালিমদেরকে অবশ্যই মজলুমের বদদোয়া থেকে সাবধান হওয়া উচিত। কারণ রাসূল সা. বলেছেন, ‘মজলুমের বদ দোয়াকে তোমরা ভয় করো। মজলুমের বদদোয়া এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।’ অতীতে জুলুম-নির্যাতন করে কেউই রক্ষা পায়নি, বর্তমান জালিম সরকারও রক্ষা পাবে না, ইনশাআল্লাহ।
অবিলম্বে জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে মাস্টার নূরুন্নবীসহ সারাদেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।”