আরও

২ জুলাই ২০১৪, বুধবার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কূটনীতিকগণের সম্মানে ইফতার পার্টি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আজ ০২ জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স ও কূটনীতিকগণের সম্মানে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এ ইফতার পার্টিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক কোরের ডীন মি. শাহের মুহাম্মদ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টদূত মি. ড্যান ডব্লিউ. মোজেনা, সৌদি আরবের রাষ্ট্্রদূত ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আল-বুসাইরী, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মি. হোসাইন মুফতুগ্লু, মিশরের রাষ্ট্রদূত মি. মুহাম্মদ ইজ্জত, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিসেস মেরিডি ল্যানডিমো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চীফ অব মিশন মি. জন ডেনি লুইস, গ্রেট বৃটেনের ডেপুটি হাইকমিশনার মি. নিকলো, অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার ড. লুসিন্দা বেল, কাতারের ডেপুটি হেড অব মিশন খালিদ জাহিদ এম. আল-মাহমুদ, কানাডার ডেপুটি চীফ অব মিশন মি. ডেনিয়েল লুতফি, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, ওমান, লিবিয়া, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশের কূটনীতিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ ইফতার পার্টিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এড. জসিম উদ্দিন সরকার, এবং কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সহকারী সেক্রেটারী জনাব মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতে সাড়া দিয়ে ইফতার মাহ্ফিলে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্সসহ কূটনীতিকগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ মাহ্ফিলে আপনাদের উপস্থিতি মাহফিলকে স্বার্থক করেছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে সরকার অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখেছে। তারা নোংরা রাজনীতির শিকার। এ জন্য আমাদের অন্তরে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। এ সন্ধ্যায় আমরা তাদের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি ও মানবাধিকার লংঘন করে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা অভিযোগে আমাদের সম্মানিত নিরপরাধ নেতৃবৃন্দের বিচারকে সমর্থন বা অনুমোদন না করে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী দল। জামায়াতে ইসলামী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। একটি শান্তিকামী রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। বরং সর্ব প্রকার সন্ত্রাসী কর্ম-কান্ডকে ঘৃণা করে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন যে, পবিত্র রমযান মাস হলো সর্বশেষ আসমানী কিতাব পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, মানবজাতিকে লক্ষ্য করে পবিত্র কুরআনের সূরা হুজরাতের ১৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছেন যাতে মানুষ একজন অপরজনকে চিনতে পারে। সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে সব চাইতে বেশী সম্মানিত যিনি সব চাইতে বেশী তাকওয়ার গুণসম্পন্ন। আল্লাহ সব কিছু জানেন ও সব বিষয়ে সতর্ক।”

আমরা যদি সত্যিকারভাবে পবিত্র কুরআনের বাণী অনুসরণ করে চলতে পারি তাহলেই আমরা শান্তি ও কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবো।

এ রমযান মাসে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমরা যেন আমাদের উপর দেয়া দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করে সামাজিক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তিনি এ ইফতার মাহফিলে শরীক হওয়ার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।