শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা একটি নাম, একটি ইতিহাস, একটি অনন্য প্রতিভা। যিনি একাধারে একজন রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, লেখক, ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও সদালাপী মানুষ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। জালিম আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে শাহাদাত বরণ করেন ইসলামী আন্দোলনের এই অগ্রসেনানী। আজীবন লালিত শাহাদাতের স্বপ্ন পুরণ করে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা চলে গেছেন তাঁর প্রিয় প্রভুর সান্নিধ্যে। তাঁকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী আন্দোলনের একজন নেতাকে ফাঁসি দেয়ার ন্যক্কারজনক নজির আওয়ামী লীগই প্রথম স্থাপন করলো। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ আবারো প্রমাণ করলো তারা আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও পরমতসহিষ্ণুতায় বিশ্বাস করে না। শুধুমাত্র আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করার জন্য তারা দফায় দফায় আইন পরিবর্তন, মিথ্যা অভিযোগ ও সাক্ষী জালিয়াতি করে স্তম্ভিত করে দিয়েছে বিশ্ববিবেককে।
শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হত্যা করা হয়েছে-এমনই দাবি আজ তার আইনজীবী, পরিবার, দেশের জনগণ, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহল ও বিভিন্ন সংস্থাসহ সচেতন বিশ্ববাসীর। কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও শাহবাগের কথিত গণজাগরণ মঞ্চের অন্যায় ও বেআইনী দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইন সংশোধনের মাধ্যমে আপিল করে সরকার। আপিল বিভাগের বিভক্ত রায়ের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে তড়িঘড়ি করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁকে ফাঁসির নামে হত্যা করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের কথিত অভিযোগে আটক, স্কাইপি কেলেংকারী, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সাক্ষী অপহরণ, দলীয় লোক দিয়ে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম গঠন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপন ইত্যাদি পুরো বিচার প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সম্পূর্ণ বুকলেটটি ডাউনলোড করতে লিঙ্কে যানঃ শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা