২১ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের অবদানের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ২১ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সমাজকল্যানমন্ত্রী শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কাল্পনিক এবং বায়বীয় অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে। এ ব্যাপারে সরকার যে প্রহসন করেছে তা দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্য হয়নি।

তিনি বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবী আদায়ের আন্দোলনে তিনি যে আপোষহীন ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন তার জন্য দেশবাসী তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। ২০০১ সাল থেকে তিনি ৪ দলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি মন্ত্রী থাকাকালে অত্যন্ত স্বচ্ছতা, সততা ও দক্ষতার সাথে দুর্নীতি মুক্ত একজন মন্ত্রী হিসেবে তার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। আজ পর্যন্ত কেউই তার বিরুদ্ধে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজেও দুর্নীতির কোনো প্রমাণ আবিষ্কার করতে পারেনি। তার পরিচ্ছন্ন ও অনাড়ম্বর জীবন-যাপন মানুষকে মুগ্ধ করত।

সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েই তাকে বানোয়াট অভিযোগে হত্যা করেছে। তিনিসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের রক্তের বিনিময়েই ইনশাআল্লাহ একদিন এ দেশে ইসলামী সমাজ কায়েম হবে। শহীদ মুজাহিদসহ জামায়াতের নেতৃবৃন্দ যে ইসলামী আদর্শের জন্য জীবন দিয়েছেন, সে ইসলামী আদর্শ এ দেশে কায়েমের মাধ্যমে তাদের হত্যার বদলা নেয়ার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।

শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের শাহাদাত কবুল করে তাকে জান্নাতে অতি উচ্চ মর্যাদা দেয়ার জন্য আমি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।”