বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানার আমীর জনাব আবদুল লতিফ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০ ডিসেম্বর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সকাল সাড়ে ৭টায় ৭০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বর বাদ আসর জানাযা শেষে তাঁকে চাতরা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোক বিবৃতি
জনাব আবদুল লতিফের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১ জানুয়ারি এক শোক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জনাব আবদুল লতিফকে জালিম সরকার গত ১৮ ডিসেম্বর বিনা কারণে গ্রেফতার করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। কারাগারে গিয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়নি। গত ৩০ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করলে কারাকর্তৃপক্ষ তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসা না দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমি জালিম সরকারের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জনাব আবদুল লতিফের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।